cpim, cpm, kolkata police, নবান্ন, রাজনীতি
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ আজ ১১ ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দশটি বামপন্থী ছাত্র ও যুবরা কর্মসংস্থান ও শিল্পের দাবিতে এবং সরকার বদলের ডাকে নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি নিয়েছে। বামপন্থী যুব ও ছাত্র সংগঠন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, যেভাবেই হোক আমরা “নবান্ন যাবই”। দশটি বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি কংগ্রেসের গণসংগঠনেরও নবান্ন অভিযান-এ যোগ দেওয়ার কথা আছে।

বামপন্থী ছাত্র ও যুবরা হুশিয়ার দিয়েছিল “খেলা হবে”। বেলা ১১ টা নাগাদ নবান্নের গেটের কাছে পৌঁছে গেলেন কয়েকজন ডিওয়াইএফআই কর্মী। তারা হাতে দলীয় পতাকা তুলে ‘হাল ফেরাও, লাল ফেরাও’ স্লোগান দিতে দিতে নবান্নের গেট দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে তারা ধস্তাধস্তি শুরু করে। পুলিশ তাদেরকে আটক করে এবং তাদেরকে শিবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, দুটি মিছিল আসবে কলেজ স্ট্রিটে, হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন থেকে। দশটি বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠন কলেজ স্ট্রিট থেকে যাত্রা শুরু করবে দুপুর ১ টা নাগাদ। বামফ্রন্টের মিছিল কে কেন্দ্র করে কলকাতার বিভিন্ন জায়গার পুলিশকে একত্রিত করা হয়েছে। বামপন্থী জানিয়েছে, কিছু দিন আগে নবান্ন অভিযান কর্মসূচির কথা জানানো হলেও, পুলিশ তাদের কোনও সহযোগিতা করেনি। এই মিছিল চলা কালীন যদি পুলিশ কোনও প্রকার বাধা দেয়। তাহলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ঘটে যেতে পারে। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতায় আজ যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে সংঘাত।

নবান্ন অভিযান কর্মসূচি বাধা দেওয়ার জন্য শহর কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে এবং রাস্তার আশেপাশে পড়ে থাকা ইট পাটকেল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যাতে করে বামপন্থী ছাত্র ও যুবরা ইটপাটকেল ছুড়ে কাউ কে আঘাত না করতে পারে।

ছাত্র ও যুব সংগঠনের এই নবান্ন অভিযান কে কেন্দ্র করে কড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। হাওড়া ব্রিজের উপর চলছে ড্রোনে নজরদারি এবং বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান আটকানোর জন্য হাওড়া রেল মিউজিয়াম ছাড়াও শহর কলকাতায় বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। হাওড়া রেল মিউজিয়াম সহ বাঁশতলা ঘাট, ফোরশোর রোড, মল্লিক ফটক, বেতার মোড়, লক্ষীনারায়ন তলায় ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুলিশ। এছাড়াও মিছিল আটকানোর জন্য রাখা হয়েছে জল কামান।