পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ বর্তমানে বিপরীত রাজনৈতিক দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের পাশাপাশি মন্ত্রী-মন্ত্রী লড়াই যেন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে উঠেছে। আবারো এমন একটি মন্ত্রী লড়াইয়ের খেলা দেখা গেল কংগ্রেস ও বিজেপীর মধ্যে। শুক্রবার কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খার্গ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে তীব্র কটাক্ষের তীর ছুঁড়লেন।
কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খার্গ ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসাবে হরিয়ানার পানিপথের একটি সমাবেশে অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একজন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব হল দেশকে রক্ষা করা। শুধুমাত্র পুজো-পাঠে মেতে মন্দির নিয়ে ঘোষণা করা তার প্রধান কর্ম নয়।
বৃহস্পতিবার, ত্রিপুরায় সাব্রুমে একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় অমিত শাহ বলেছিলেন, রাহুল সাব্রুম থেকে যেন শোনেন যে ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারিতে একটি বিশাল আকারের রাম মন্দির তৈরি হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে, কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে রাম মন্দিরের ব্যাপারটিকে আদালতের জিম্মায় রেখেছিল। যেখানে নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, ভূপিন্দর সিং হুডা, গান্ধী, কুমারী সেলজা, কে সি ভেনুগোপাল, কিরণ চৌধুরী, ডি কে শিবকুমার, শক্তিসিংহ গোহিল,, দিগ্বিজয় সিং, দীপেন্দর সিং হুডা, এবং উদয় ভান সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতিতে খড়গে, সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মল্লিকার্জুন খার্গ।
সেদিন মূল্যস্ফীতি এবং বেকারত্ব সহ অনেকগুলি বিষয় নিয়েই কেন্দ্রকে নিন্দা করেছিলেন কংগ্রেস। কংগ্রেসের মতে, বিজেপি নির্বাচনের সময় লম্বা প্রতিশ্রুতি দেয় সর্বদা। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরে সেই প্রতিশ্রুতির আর বাস্তবায়ন হয় না।
তিনি বলেন, দেশে মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্ব বাড়ছে কিন্তু সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। বিজেপির ২ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও উধাও। তিনি সরাসরি বিজেপিকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে জনসমক্ষে সম্বোধন করেন। কংগ্রেস প্রধান আরও বলেন যে, তারা একটি ‘ভিন্ন রাহুল’ দেখতে পাচ্ছেন কারণ তিনি পায়ে হেঁটে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর যাত্রা করেছেন। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।
কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খার্গ-এর দাবি, বিজেপি কূটনৈতিক মানসিকতা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা সমাজকে বিভক্ত করছে এবং জাতি ও ধর্মকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করাচ্ছে। ভারত জোড়ো যাত্রার লক্ষ্য এই বিভাজনকে দূর করা। তিনি বলেন, ভারত জোড়ো পদক্ষেপ কেবলমাত্র ভোটের জন্য নয়। এটা জাতীয় স্বার্থে, সকল জনগনের স্বার্থে। এছাড়া এটা কৃষক, যুবক, মহিলা এবং দলিতদের স্বার্থেই নেওয়া হচ্ছে।