mamata banerjee, west bengal, digha, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেচ দপ্তর
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ প্রতিবছরই রাজ্য সরকারের টাকা অপচয় হচ্ছে। এই নিয়েই এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেচ দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নবান্নে। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারের টাকা অপচয় করা হচ্ছে বলে সরব হলেন মমতা।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “টাকা ঠিকমতো ব্যবহার করা উচিত। আমাদের টাকা অপচয় হচ্ছে। প্রতিবছর বাঁধ সারালেও কেন ভাঙছে ? লাখ লাখ টাকা খরচ করে জলে যাচ্ছে। প্রতিবছরই বাঁধ তৈরির টাকা জলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে স্বচ্ছতা আনা উচিত।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “প্রতি বছর বাঁধ সারাচ্ছি, প্রতিবছরই ভেঙে যাচ্ছে। এত টাকা দিয়ে যদি আমি জলে বেঁধে দিই, তাহলে জল আমায় বেঁধে দেবে।”

এর পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আমফান নিয়েও সরব হলেন মমতা। তিনি বলেন, “আমফানের সময় প্রচুর গাছ ভেঙেছে। সেই গাছ কোথায়?” এর পাশাপাশি তিনি তিন দিনের মধ্যে সমস্ত রিপোর্ট তলব করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ রুখতে প্রকৃতিই ভরসা। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ম্যানগ্রোভ লাগানো হবে। তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। দিঘার সৌন্দর্যায়ন নষ্ট হয়েছে। দিঘায় সৌন্দর্যায়নের কাজে গাফিলতির জন্যই ক্ষতি হয়েছে। গাফিলতির তদন্ত হবে। বছরের পর বছর ব্রিজ তৈরির কাজ আটকে কেন? সেচ দফতর, মৎস্যজীবীদের জন্য পরিকল্পনা দরকার।”

ওই বৈঠকে মমতা বলেন, “সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা ভালো কাজ করছেন, কিন্তু টিম লিডার ভালো না হওয়ায় কাজে ইচ্ছে থাকলেও উপায় থাকেনা।” তিনি আরও বলেন, “দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হবে। সেই কমিটিতে থাকবেন নদী বিশেষজ্ঞ। এখনও গ্রামে বিদ্যাধরী নদীর জল ঢুকছে। আর তাতে প্লাবিত হচ্ছে গ্রাম। ফের ভরা কোটাল আসছে। ১১ জুন ও ২৬ জুন ভরা কোটাল রয়েছে। তার আগে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করতে হবে। রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে, বসে থাকবেন না। তিনদিনের মধ্যেই দেবেন। অযথা টাকা খরচ নয়। যথাযথভাবে পরিকল্পনামাফিক এসবের পিছনে অর্থব্যয় করতে হবে।”

দীঘায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্দারমনি হোটেল। সে বিষয়ে তিনি বলেন, “মন্দারমণিতে হোটেলের ক্ষতি হয়েছে নিজেদের দোষে। সমুদ্রের ধারে হোটেল তৈরি করেছে।”