পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ অভিযোগ উঠল এসএসকেএম ও কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিম্নমানের সরঞ্জাম নিয়ে। বেশ কয়েক মাস আগেই এসএসকেএম ও কলকাতা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা নিম্নমানের পেসমেকারের কারণে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি পাঠান। এমনকি ডাক্তাররা এই পেসমেকার ব্যবহার করবেন না বলেও জানিয়ে দেন।
স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও ডিসেম্বর মাসে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ওই নিম্নমানেরই পেসমেকার দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। দিনের পর দিন পেসমেকারের সংখ্যা কমে যাওয়া, তার পাশাপাশি নিম্নমানের পেসমেকার দেওয়ার ফলে অনেকেই মন্তব্য করছেন যে, সরকারি স্বাস্থ্য ভবনে টান পড়েছে অর্থের। তবে এই বিষয়ে অভিযোগ উঠলেও কোনো বক্তব্য পেশ করেননি স্বাস্থ্যসচিব বা ডেপুটি সেক্রেটারি কেউই।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, সরকারি হসপিটালে দিনের পর দিন পেসমেকারের সংখ্যা কমছে। ২০২২ সালে মে মাসে এসএসকেএমকে যেখানে পেসমেকার দেওয়া হয়েছিল ১০৩টি সেখানে ডিসেম্বর মাসে পেসমেকার দেওয়া হয়েছে ৭০টি। ফলে অনেকটাই পেসমেকারের সংখ্যা কমে গিয়েছে সরকারি হসপিটালে।
এর পাশাপাশি ডিসেম্বরে এসএসকেএম-এ চারটি অত্যন্ত আধুনিক পেসমেকার বসানো হয়েছে। নীলরতনে এই হাইমানের পেসমেকার বসানো হয়েছে একটি। অন্যদিকে কলকাতা ও আরজিকর-এ বসানো হয়নি এই পেসমেকার।
বাংলার মানুষকে এমনিতেই সরকারি হাসপাতালে পেসমেকার বসানোর জন্য ভর্তি হতে বা সরকারি অপারেশনের ডেট পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে আবার এই পেশমেকারের সংখ্যা কমে আসায় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়া সরকারি হাসপাতালের কিছু কতৃপক্ষ নিম্নমানের অপারেশনের সরঞ্জাম কিনছে বলেও অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্যভবনে। তবে কিছু কিছু সরকারি হাসপাতালের অধিকর্তা ও চিকিৎসকেরা বলেছেন সরকারের আর্থিক কারণেই হয়তো এই নিম্নমানের সরঞ্জাম ও এত কম পেসমেশকার বসানো হচ্ছে সরকারি হাসপাতালগুলিতে।