পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ কথায় আছে মাঘের শীত বাঘের গায়ে। কিন্তু এবারের চিত্র একেবারে ভিন্ন। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় আজ সারাদিন হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুধু দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাই নয়, সেই সাথে উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মত দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে ঘন কুয়াশা দেখা গিয়েছে কলকাতা শহরের উপরে। দেখে নিন কেমন থাকবে আজকের (১৯শে জানুয়ারি ২০২৩) আবহাওয়া –
আজকের আবহাওয়া
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাঃ ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাঃ ১৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বোচ্চ জলীয়বাষ্পঃ ৮৩ শতাংশ
সর্বনিম্ন জলীয়বাষ্পঃ ৬৬ শতাংশ
বৃষ্টিঃ সম্ভাবনা বিক্ষিপ্ত
বাতাসের গতিঃ ০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা
সূর্যদয়ঃ সকাল ৬টা ১৯মিনিট
সূর্যাস্তঃ সন্ধ্যে ৫টা ১৬মিনিট
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলির মতো উত্তরের পার্বত্য জেলাগুলি তথা দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ আজ সারাদিন হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ মেঘলা এবং দিনভর ফুরফুরে হাওয়া চলার জন্য উত্তরবঙ্গের দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পরিমাণ কম থাকবে। এর মধ্যে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় দিনের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে সবথেকে কম থাকবে। গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই কুয়াশার দাপট দেখা যাবে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কুয়াশার প্রভাব সব থেকে বেশি থাকবে। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের নিচে নেমে আসতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
কলকাতা শহরের সকালের দিকে ব্যাপক কুয়াশা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে আকাশ পরিষ্কার হয়ে হালকা রোদ দেখা দিয়েছে। আজ রাতের দিকে শীতের আমেজ বজায় থাকবে। মূলত পশ্চিমের জেলাগুলি এবং শহরতলীর জেলাগুলিতে বেশ ভালোভাবে শীতের আমেজ বোঝা যাবে। বর্তমানে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা গড়ে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
আগামীকালের আবহাওয়া
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দুই থেকে তিন দিন গোটা বাংলা জুড়েই শীত শীত ভাব থাকবে। তবে রবিবারের পর থেকে আবারও তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হবে। পাহাড়ে এবং উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর একটি উচ্চচাপ বলয় এবং বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ায় সমুদ্র থেকে স্থলভাগে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প প্রবেশ করছে। যার ফলে এই বৃষ্টি বৃষ্টি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলায়।