mamata banerjee, dilip ghosh, tmc, তৃণমূল, দিলিপ ঘোষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,
"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে", মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ হাতে গুনে মাত্র আর কয়েকটা দিন রয়েছে, তারপর বাংলায় হতে চলেছে উপনির্বাচন। এরই মধ্যে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিশানায় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন।

আজ শুক্রবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে নানাভাবে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানায় নিলেন তিনি। তিনি এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “বিজপিকে ভয় পাচ্ছে মমতা ব্যানার্জি। ভয় পাচ্ছেন বলেই মমতা ব্যানার্জি পুরো মন্ত্রিসভাকেই প্রচারে নামিয়ে দিয়েছেন ভবানীপুরে। তৃণমূলের সঙ্গে আমাদের লড়াই পুরোপুরি হবে। আমরা তো এখনও ময়দানে নামিনি। তার আগেই দেখছি মমতা ব্যানার্জি মন্ত্রিসভাকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল।”

mamata banerjee, dilip ghosh, tmc, তৃণমূল, দিলিপ ঘোষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,
“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে”, বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের | ছবি – সংগৃহীত

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষক নেতা মনিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে পুলিশ উপস্থিত হয়। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রাজ্যের প্রশাসনকে তিনি এদিন বলেন,  “সরকার, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনের উপর কোনও কন্ট্রোল নেই। পুলিশ-প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করে না, পার্টির সেবা করে। তার ফলে সমাজে চোর-ডাকাত-গুণ্ডা-বদমাশ-সন্ত্রাসবাদীদের দাদাগিরি চলছে। আর তার প্রতিবাদ করলে আমাদের উপর ডাণ্ডা চলছে। টিচার্সদের যেভাবে ট্রান্সফার করা হয়েছে তাঁরা প্রতিবাদ করতে বিষ খেয়েছেন। এর চেয়ে দুরাবস্থা আর কি হবে ! এখন যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁদের বিপাকে ফেলার চেষ্টা চলছে।”

এর পাশাপাশি তিনি এদিন বিশ্বভারতী আন্দোলন প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়ে বলেন, “এই সরকার স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। কারও কথা শুনতে রাজি নন। কর্মীরা বঞ্চিত সবদিক দিয়ে। শিক্ষক, পুলিশ কর্মীরা যদি নিজেদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেন, তাঁদের ট্রান্সফার করা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে তুলে আনা হচ্ছে। একই আন্দোলন বিশ্বভারতীতে হলে এই সরকার সমর্থন করছে।”

উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত বাংলা। একবিন্দু মাটি কেউ ছাড়তে চায় না। ভবানীপুরের মাটি নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, তবে কার অধীনে যাবে ভবানীপুর ? বিজেপি নাকি তৃণমূল? সেটাই এখন দেখার বিষয়।  আগামী ৩ রা অক্টোবর এর দিকে চোখ রাখছে বঙ্গবাসী।