পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ এদিন দলের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আর দলের হয়ে প্রচারে বেরিয়ে শাসক দলের প্রধান তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরাজ প্রশংসা করলেন তিনি। এদিন এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন চক্রবর্তী জানান, এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের অন্যতম সেরা রাজনীতিবিদদের একজন। আর হঠাৎ তার এমন মন্তব্যে তোলপাড় সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ।
সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় প্রচারে বেরিয়েছিল বিজেপি সমর্থকরা। গেরুয়া শিবিরের হয়ে সেই প্রচারের কান্ডারী ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। প্রচারের ফুরসতে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে জানান, দেশের সেরা দশজন রাজনীতিবিদদের মধ্যে একজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা চার-পাঁচটা এমন মাস্টার স্ট্রোক মেরেছেন, যেগুলো বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম, কেউই বুঝতে পারেনি।
আগত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৩ নভেম্বর থেকে জোর কদমে প্রচার শুরু করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। পুরুলিয়ার লুধুড়কায় জনসভার মধ্য দিয়ে এই প্রচার শুরু করেন মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুন ২৪শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার সভা করেন বাঁকুড়ায়, ২৫শে নভেম্বর শুক্রবার সভা করেন বিষ্ণুপুরে এবং আগামী ২৬শে নভেম্বর শনিবার আসানসোলে সভা করবেন, ২৭শে নভেম্বর আগামী রবিবারও সভা করার কথা আছে বোলপুরে। এই গোটা কর্মসূচিতে তার সঙ্গে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আলাপচারিতার ফাঁকে, তাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এক বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম তাকে জিজ্ঞাসা করে যে, তিনি তো এক সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যদি তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করা হয় তাহলে তিনি কি বলবেন? প্রশ্নের উত্তরে মিঠুন চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অভিষেক একজন খুব ভাল বক্তা, দারুন বক্তব্য রাখেন, শ্রোতাদের আটকে রাখতে পারেন।
প্রসঙ্গত মিঠুন চক্রবর্তী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির হয়ে একাধিক জনসভা করেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। এই সভা চলাকালীন এক ব্যক্তি দাড়িয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর উদ্দ্যেশ্যে প্রশ্ন করেন, চপের ব্যবসা চলছে না। এই অবস্থায় কি করনীও তার? এর উত্তরে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, কাউকে ছোট করে কোন কথা বলতে চাইনা। চপ বিক্রি না হলে, ঢপ বিক্রি করো। পশ্চিমবঙ্গে এটা চলছে।