babul supriyo, mamata banerjee, tmc, bjp, facebook , মমতা বন্দয়াধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বঙ্গ চলছে বিধানসভা নির্বাচনী ভোট। করোনা আবহের মধ্য দিয়েই নির্বাচনী ভোটগ্রহণ চলছে। এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের উপর পাল্টা অভিযোগ তুলছে।

নির্বাচনী প্রচারে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর ফেসবুককে হাতিয়ার করে নিলেন বিজেপি সংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সম্প্রতি একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানায় নিয়ে রাজনৈতিক আক্রমণের মান বাচনভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

বাবুল সুপ্রিয় বলেন,”রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন বক্তা হন, তখন তার রাজনৈতিক বাচনভঙ্গি ও রাজনৈতিক আক্রমণের একটা মান থাকে। আমাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছেন। আমি তাতে আপ্লুত। তবে আমারও দিদিকে কিছু বলার আছে।”

প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোলে একটি সভাতে বলেছিলেন, “আপনারা বাবুল সুপ্রিয়কে ভোট দিয়েছিলেন। এখন বাবুল সুপ্রিয় টালিগঞ্জে চলে গিয়েছে। টালিগঞ্জের লোকেরা বলছে, হায় হায় একি করলি! আসানসোল থেকে পালিয়ে এলি?” এই মন্তব্যের পাল্টা জবাবে বিজেপি সংসদ বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, “প্রতি পদে পদে আপনি আমাকে বাধা দিয়েছেন। প্রত্যক্ষভাবে আপনার বিরুদ্ধে আমি লড়ছি। আমি যদি পালিয়ে যেতে চাইতাম, তাহলে আসানসোল থেকে টালিগঞ্জে যেতাম না।”

এছাড়াও তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “বাবুল সুপ্রিয় একজন শিল্পী হয়ে মিথ্যে কথা বলে। এটা আমি এর আগে কখনো দেখিনি।” মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পাল্টা জবাবে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, “আমি সত্যি কথাই বলি, কিন্তু আপনার সেটা মিথ্যে বলে মনে হয়। আপনি যেগুলো মিথ্যে বলেন, তার বিরুদ্ধে আমি বলি বলে আপনার আমার কথা মিথ্যে মনে হয়। আর আমি যে আসানসোলের মানুষের হয়ে সত্যি কথাই বলতাম, সেটা জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলে দিয়েছেন।”

প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “বাংলায় বিজেপি কেন? বিজেপির ঠাকুর দাদাও আসতে পারবে না।” তৃণমূল নেত্রীর পাল্টা জবাবে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, “দিদি এটা কল তলা নয়, এটা সভামঞ্চ। ভাষাটা যদি ভালো রাখতেন, তবে শুনতে ভাল লাগতো। যেখানে পাব, সেখানেই লড়বো, যেখানে যাব, সেখানেই হারাব। ২’রা মে টালিগঞ্জে কী হয়, শুধু আপনি দেখবেন।”