পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব এলাকা ছেড়ে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এককালীন তৃণমূলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করে মমতাকে ভোটে পরাজিত করেন।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে হেরে গেলেও গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূল পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করলেও, নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ফলাফল ঘোষণার ৬ মাসের মধ্যে তাকে যেকোনো একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে আসতে হবে। সেই কারণেই রাজ্যে উপনির্বাচনের নিয়ে তৎপর হয়ে পড়েছিল শাসক দল।
উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পর ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার। গতকাল, বুধবার ভবানীপুরের দলের কর্মীসভায় যোগদান করে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল পরবর্তীতে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করতে চাননি। দলের নেতা ও কর্মী সমর্থকদের জোরাজুরিতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি বললাম, এতোদিন তো করলাম, এবার আমাকে ছেড়ে দিন। আপনারা করুন, আমি সবটা দেখে শুনে, করে দেব। কিন্তু ওঁরা বলল, হবে না। আমাকে মুখ্যমন্ত্রীও থাকতে হবে, আবার চেয়ারম্যানও থাকতে হবে। সবার জন্য ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি হলেও, আমার জন্য কেন আলাদা ? কিন্তু কেন এই বিভেদ করছে আমার সঙ্গে ? সে কথাও ওঁরা মানতে চাইল না। এই তো সামনে আছে, জিজ্ঞেস করুন।”
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করতে চায়নি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য কাউকে রাজ্যের দায়িত্বভার দিতে চেয়েছিলেন তিনি। সে কথা আজ নিজের মুখে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ।