মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, Mamta Banerjee, নরেন্দ্র মোদী, narendra modi, tmc, bjp
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনী ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে। তারই মধ্যে চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ হয়ে গিয়েছে এবং এখনো চার দফার ভোট গ্রহণ বাকি। নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত বঙ্গ।

পঞ্চম দফার ভোটের আগেই নির্বাচনী প্রচারকে ঘিরে ঘাসফুল শিবির আবারও বিতর্কে জড়াল। ঘটনাটি উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি এলাকার। সেখানে দুর্গা রুপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং অসুর রূপে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে এক কাঠামোয় মূর্তি তৈরি করে চরম অপমান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।

সূত্রের খবর, নির্বাচনী প্রচারে তাক লাগানোর জন্যই দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি এলাকায় একটি মূর্তি তৈরি করা। মূর্তিটি শেখর সরকার নামে এক মৃৎশিল্পী কে দিয়ে তৈরি করেছেন তৃণমূল সর্মথকরা। মূর্তিটি তে দেখা যাচ্ছে, দুর্গা রুপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অসুর রুপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।

এছাড়াও দেখা যাচ্ছে সেই মূর্তিতে দুর্গা রুপি মমতা মোদীকে উন্নয়নের ত্রিশূল দিয়ে বদ করছে। এছাড়াও দুর্গা রূপে মমতার দশটি হাতে রয়েছে রাজ্য সরকার দ্বারা চালু করা, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রীর মত প্রকল্প। এই বিতর্কিত মূর্তিটি দেখা যায় হিলির জামালপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে অফিসের পাশে। এই নিয়েই হিলি এলাকায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

বিতর্কিত এই মূর্তিটি দেখার জন্য মানুষের জমায়েত সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে খিল্লি করায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। স্থানীয় বিজেপি সমর্থকরা সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে সেই মূর্তিটি সরিয়ে নেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।

এই ঘটনায় হিলির স্থানীয় বিজেপি নেতা রঞ্জন দাস বলেন, “আমাদের গ্রামে এক এক জন মানুষ এক একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু কারো সাথে কোনো বিবাদ নেই। ভোট হোক বা না হোক। এখানে সর্বদায় শান্তি বজায় রাখেন সকলেই।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “সকলে মিলে একই চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়া হয়। সেখানে রাজনীতি নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও কোনদিনও কোন বিবাদ হয়নি। তবে এই ধরনের ঘটনা সবার মন ব্যথিত করেছে। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে আমরা তৃণমূলের সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এর পরেই তারা বির্তকিত মূর্তিটি সরিয়ে ফেলে।”

অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকরি বলেন,”আমরা প্রতিপক্ষকে সবসময় বিপজ্জনক বলেই ভাবি। আমাদের কাছে প্রতিপক্ষরা সবসময় অসুরসম। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবী দুর্গা হিসেবেই ভাবি। তাই আমাদের সমর্থকরা সেভাবেই মূর্তি বানিয়েছে। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, যার চেয়ারটার সম্মান অনেক বেশি। কিন্তু তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভাবে দিদিকে ‘দিদি ও দিদিইই’ বলে ডাকেন। সেটা যদি বিজেপির ভাইদের ভালো লাগে, তবে এই মুহূর্তে টাও ভাল লাগা উচিত।”