পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণের দিন কোচবিহারে রণক্ষেত্রের ময়দান সৃষ্টি হয়েছিল। কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের ও আহত হয় আরও চারজন। এছাড়াও ওই দিন সকালে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় ১৮ বছরের যুবকের।
শীতলকুচিতে যারা আহত হয়েছেন তাদের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করতে চেয়েছিলেন গত রবিবার। কিন্তু ভোটগ্রহণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোন রাজনৈতিক নেতা ও নেত্রী প্রবেশ করতে পারবেন না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা জারির সময়সীমা পার করেই আজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারে যাচ্ছেন।
আহতরা মাথাভাঙ্গার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, তৃণমূল সুপ্রিমো আহতদের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে মাথাভাঙ্গার সরকারি হাসপাতালে উপস্থিত হবেন। সেখানে আহতদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তিনি আজ কলকাতা থেকে বিশেষ বিমানে করে বাগডোগরা যাবেন তারপর তিনি সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে মাথাভাঙ্গায় পৌঁছাবেন।
এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আহতদের দেখতে দিদি হাসপাতালে যাবেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে আবার প্রচারের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। দিদি যেমন কথা দিয়েছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতি পালন করতেই দিদি আসছেন।”
অন্যদিকে, আনন্দ বর্মন নামে ১৮ বছরের এক তরুন যুবক তার জীবনের প্রথম ভোট দিতে গিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় তার। তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাদের শাস্তি হওয়ার দাবি জানিয়েছে ওই যুবকের পরিবার। আনন্দ বর্মনের পরিবার সূত্রে খবর, আনন্দ বর্মন কে যারা গুলি করে হত্যা করেছে, তারা তৃণমূলেরই গুন্ডা। মৃত ওই যুবকের বাবা জগদীশ বর্মন জানিয়েছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত অপরাধীদের শাস্তি হচ্ছে। ততক্ষণ পর্যন্ত আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করব না। এমনকি কোনো রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে দেখা করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।