পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ২৪ ঘন্টার জন্য নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ ধর্নায় বসেন মমতা।
আজ বেলা বারোটার সময় গান্ধী মূর্তির পদদেশে ধর্নায় বসবেন বলে ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী তার নির্ধারিত টাইম এর ৩০ মিনিট আগেই গান্ধী মূর্তির পদদেশে পৌঁছেছিলেন। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ধর্নায় বসার অনুমতি না পাওয়ায় একাই ধর্নায় বসে ছিলেন তিনি। তার অনুগামী ও সমর্থকদের কেউ সঙ্গে রাখেননি তিনি।
তৃণমূল নেত্রীর ধর্না, এক প্রকার নিরব ধর্না বললেই চলে। তার সঙ্গে না ছিল কোন দলীয় পতাকা, না ছিল তার কোন অনুগামীরা। তিনি একাই একটি তাঁবুর তলায় বসে মুখে কালো কাপড় জড়িয়ে নিরবের ছবি আঁকতে বসে পড়েন। সেখানেই বসে বসে বেশ কয়েকটি ছবিও আঁকেন তৃণমূল নেত্রী।
তৃণমূল সুপ্রিমো নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পদদেশে প্রায় তিন ঘন্টার অধিক সময় ধরে ধর্নায় বসে ছিলেন। প্রায় তিন ঘণ্টার এই ধর্নায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা কে দেখে মনেই হয়নি যে তিনি চিন্তিত। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে এতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ক্ষতি হয়নি বরঞ্চ ক্ষতির চেয়ে বেশি লাভই হয়েছে।
কারণ, নির্বাচনী প্রচারে গেলেও এতটা প্রচার পেতেন না তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যতটা তিনি নীরব ধর্নায় প্রচার পাচ্ছেন, ততটা বিরোধী দলগুলি আজ নির্বাচনী প্রচার করলেও বাংলার মানুষ তার থেকেও বেশি চোখ রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই। সেদিক দিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারে নতুন মোড় সৃষ্টি করলেন বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি।
আজ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারির সময়সীমা পার হলেই জোড়া সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। আজ রাত ৮ টার পরেই মমতা পরপর দুটি সভা করবেন। বারাসাতে ৮:১৫ মিনিটে প্রথম সভা করবেন তিনি এবং পরবর্তী সভা টি করবেন বিধাননগরের রাত ৯ টার সময়।
এছাড়াও আগামীকাল তৃণমূল নেত্রী কোচবিহারের শীতলকুচিতে যাচ্ছেন। চতুর্থ দফার ভোটের দিনই শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন আহত হয় এছাড়াও চারজন নিহত হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলির আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। শীতলকুচির ওই ঘটনা টিকে ঘিরে গত রবিবারে শীতলকুচিতে যেতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নির্বাচন কমিশনের মানা থাকায় সেখানে যাননি মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ভোটগ্রহণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শীতলকুচিতে কোনও রাজনৈতিক নেতা ও নেত্রী প্রবেশ করতে পারবে না। সেই নির্দেশ মেনে তিনি ৭২ ঘন্টা পার করার পর আগামিকাল শীতলকুচিতে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তৃণমূল নেত্রী। আগামীকাল সর্বপ্রথমে আহতদের সঙ্গে দেখা করার পর, নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।