পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ মহামারী করোনার জেরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সকল স্তরের সমস্ত পরীক্ষায় বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সেই সকল পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যেই ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে কোন রকম পরীক্ষা ছাড়াই।
করোনা আবহের জেরে পরীক্ষা না হওয়ায় সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে পাস ঘোষিত করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীর গতবছরের নম্বর এর ভিত্তিতে। চলতি বছরে লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রথম স্থান অধিকার করেছে। প্রথম স্থান অধিকারকারী সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সম্বর্ধনা দিতে আজ একটি আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
জানিয়ে রাখি, অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে সারা হয়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমের এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১৭০০ ছাত্রছাত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। প্রথম স্থান অধিকারকারী সকল ছাত্রছাত্রীকে সম্বর্ধনা জানাতে একটি করে ল্যাপটপ উপহার দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপহার দেওয়ার সাথে সাথে একাধিক ঘোষণাও করেন তিনি।
সকল ছাত্র-ছাত্রী যাতে ভবিষ্যতে পঠন-পাঠন চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য নতুন স্কলারশিপেরও ঘোষণা করলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘পড়ুয়াদের সুবিধার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি পোর্টাল তৈরি করা হচ্ছে যেটির নাম “ক্যারিয়ার গাইড।” আগামী দিনে এই পোর্টালটি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে খুবই সাহায্য করবে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে এই পোর্টালটি তোমরা সবাই দেখে নিও। এই পোর্টালটিতে থাকবে পড়াশোনা সংক্রান্ত সব তথ্য। তোমাদের সুবিধা হবে।” এর পাশাপাশি এ স্কলারশিপ নিয়ে তিনি বলেন, “এবার থেকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেলে বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পাবে পড়ুয়ারা।”
জানিয়ে রাখি, এর আগে পর্যন্ত স্কলারশিপ পেতে গেলে প্রত্যেকটি পড়ুয়াকে ৭৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেতে হত। তবে এবার থেকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেলেই মিলবে স্কলার্শিপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন ঘোষণায় নতুন আশা দেখছে সদ্যোজাত মাধ্যমিক পাস ছাত্র-ছাত্রীরা।
তবে পড়াশোনার দিয়েই নয়, প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীকে ভালো মানুষ ও প্রতিবাদী হওয়ার বার্তাও দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আশার আলো দেখিয়ে বলেন, “তোমাদের জীবনে নতুন ভোর আসুক।”