পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ চলতি বছরেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই কোমর বেঁধে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। চারিদিকে শুরু হয়েছে প্রচার পর্ব। সম্প্রতি বারাসাতে তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিতের (Chiranjeet) ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ প্রসঙ্গে এক মন্তব্য ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল।
৯ই জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার বিকেলে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ অর্থাৎ হাতের রিস্ট ব্যান্ড নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করলেন চিরঞ্জিত। আর সেখানে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা তৈরি সামাজিক প্রকল্প রয়েছে প্রায় ৬৩টি। এরমধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে ১৫টি। এই সমস্ত সামাজিক প্রকল্পগুলির হাথ ধরেই আমরা পৌঁছে যাব মানুষের দুয়ারে। যেখানে গিয়ে লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হবে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ রিস্ট ব্যান্ড। এই রিস্ট ব্যান্ড হাতে পড়লেই মিলবে নানা রকম সরকারি সুবিধা।
এমনই মন্তব্য বেঁফাস করে শিরোনামে চিরঞ্জিত। আর তারপর থেকেই নানা রকম বিতর্ক শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বারাসাতের অন্যান্য নেতা-মন্ত্রী সহ বারাসাত পৌরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়।
তৃণমূল বিধায়কের এমন বেঁফাস মন্তব্যকে কটাক্ষ করে নানারকম প্রশ্ন করে বিরোধীরা। বারাসাত তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিতের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বারাসাত সংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কারনেই তৃণমূল বিধায়ক এভাবে গাইডলাইন তৈরি করে দিচ্ছেন। এই রিষ্ট ব্যান্ড না থাকলে কোন ব্যক্তি কি রাজ্য সরকারের সুবিধা পাবে না? এই প্রশ্ন সাধারণ মানুষ সহ আমাদেরও। সরকারি প্রকল্পগুলিতে এইভাবে রাজনীতিকরণ করা উচিৎ নয়। তীব্র বিরোধিতা এর বিরুদ্ধে।
চিরঞ্জিতের এইরকম মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হওয়ায় চিরঞ্জিতের বক্তব্য, ওই কথাটির এইরূপ অর্থ করতে চান নি তিনি। এছাড়া তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি অনেক সময় চোখে পড়ে। সেই ঘাটতি দূর করতেই এই কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে খুব সহজেই সামাজিক প্রকল্প পেতে পারেন। তবে এই মন্তব্য করাতেও থেমে যাননি বিরোধী দল। তারা তীব্র বিরোধিতা করছে তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যে।