পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপর রাজ্যে হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে। যদি কোনো কারণবশত জানুয়ারি মাসে না হয় তাহলে মার্চ বা এপ্রিল মাস নাগাদ হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কাদের পাশে থাকবে মতুয়ারা এই নিয়ে শুরু হয়েছে প্রশ্ন।
পঞ্চায়েত ভোটের পূর্বেই মতুয়া গোষ্ঠীকোন্দল আর পুরনো নেতা ও কর্মীদের মধ্যে চলছে জোর বিতর্ক। এরই মধ্যে বিজেপির অন্দরে আশঙ্কার ডানা বেঁধেছে যে, ভোটব্যাংকে কেমন প্রভাব ফেলবে মতুয়া গোষ্ঠী ? একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল গেরুয়া শিবির এর তরফ থেকে। সিএএ প্রয়োগ এবং নাগরিকত্ব আইন সংশোধন আইন নিয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের দেওয়া একটিও প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।
গতকাল রবিবার, ঠাকুরবাড়িতে রাস উৎসব উপলক্ষে মতুয়া মহাসঙ্ঘের পক্ষ থেকে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মহাসংঘের সভাপতি হিসেবে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর সংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি বিজেপির পাশেই থাকবে মতুয়ারা ? এমনটাই প্রশ্ন করা হয় শান্তনু ঠাকুরকে। এমন প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘এর উত্তর ভাল দেবেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কী চলছে আর কী চলছে না, আমি সত্যিই কিছু জানি না। রাজ্যের নেতাদের জিজ্ঞাসা করা হোক। তাঁরাই বলতে পারবেন।’’
মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্র নাথ গায়েনকে ঠিক একই প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “মতুয়াদের মূল দাবি সিএএ। কিন্তু সেই দাবি এখনও পূরণ হয়নি। আগামী দিনে আলোচনা করে ঠিক করব কাকে সমর্থন করব।”
যদিও এ বিষয়ে ঘাসফুল শিবিরের দাবি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মতুয়ারা তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে। বিজেপি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর -এর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা মতুয়াদের পাশে আছেন। তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা আছে মতুয়াদের।” পাশাপাশি তৃণমূলের প্রাক্তন সংসদ মমতা বালা ঠাকুর এ বিষয়ে বলেন, “মতুয়ারা তাঁদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকবেন। কারণ, সিএএ নিয়ে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা তারা রাখতে পারেনি।”
তবে সিএএ প্রসঙ্গ নিয়ে এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “সিএএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। সেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সিএএ কার্যকর করা সম্ভব নয়।”