পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রবিবার সকাল থেকেই তাপমাত্রার পারদ উঠেছে চরমে। নিম্নচাপের জেরে রাজ্যে বিগত ৩-৪ দিন বৃষ্টিপাত হলেও শনিবার থেকে উধাও হয়ে গেল বৃষ্টি। আবার বঙ্গের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। যার কারণে অস্বস্তি বোধ করছে বঙ্গবাসী।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার সহ আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তাউকটে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আরব সাগরের উপর সৃষ্ট নিম্নচাপ তার গতি বাড়িয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়-এর রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় তাউকটে তার তান্ডব দেখাতে শুরু করেছে কেরালে। গুজরাট মুম্বাই ও গোয়াতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আজকের (Weather) আবহাওয়া:
আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আশেপাশে এবং কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর আশেপাশে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৭ সতাংশ।
এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ঘন্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগ বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। জানা গিয়েছে আগামীকাল সোমবার গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় এবং এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার। বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ইতিমধ্যেই কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাট সহ মহারাষ্ট্রে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। গুজরাটের পোরবন্দর ও নালিয়ায় মঙ্গলবার নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পরতে পারে বলে জানিয়েছে আহহাওয়া দপ্তর।
গত বছর ১৬ ই মে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফান লন্ডভন্ড করে দিয়ে গিয়েছিল গোটা দক্ষিণবঙ্গ। যার জেরে বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়ে পড়েছিল। আমফানের সময় সরকার যেভাবে ঘরছাড়া মানুষদেরকে সাহায্য করতে মাঠে নেমেছিল এবারও ঠিক আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে নৌ-বাহিনী। তবে ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েছে নৌ-বাহিনী। ভারী বৃষ্টির ফলে কেরলে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার মানুষজনদের কে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে নৌ-বাহিনী এবং কেরল-এ লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে।