oxygen, oxygen concentrator,fraud, kolkata
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ মহামারী করোনার জেরে ভয়াবহ অবস্থা গোটা দেশজুড়ে। করোনা সংক্রমনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। তবে দৈনিক সংক্রমণ এতটাই বেড়ে চলেছে, তাতে করে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। তারই মধ্যে দিয়ে অপ্রতুল্য হয়ে পড়েছে হাসপাতালের বেড।

সংকট দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের। কোভিড চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে না। এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও কোভিড সরঞ্জাম নিয়ে দেশে চলছে কালোবাজারি। বেশ কয়েক দিন আগে কোভিড চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কালোবাজারি নিয়ে সরকার মাথাচাড়া দিয়ে বসলেও, তা এখনো পর্যন্ত বন্ধ করা যায়নি।

এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কিনতে গিয়ে বড় প্রতারণা শিকার হলো কলকাতার একটি সংস্থা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পূর্ব কলকাতার সার্ভে পার্ক থানায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অক্সিজেনের চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন জোগাড় করতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর- এর চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই কলকাতার ওই সংস্থাটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের খোঁজ শুরু করে। বিভিন্ন স্থান থেকে খোঁজ লাগাতে শুরু করেন ওই সংস্থার কর্মকর্তারা। শেষমেষ অনলাইনে একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সরবরাহকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ হয় কলকাতার ওই সংস্থার পক্ষ থেকে।

জানা গিয়েছে, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সরবরাহকারী ওই সংস্থার দুটি অফিসের সাথে যোগাযোগ করেন কলকাতার ওই সংস্থা। তার মধ্যে একটি অফিস রয়েছে দিল্লির কীর্তিনগরে ও আরেকটি মুম্বাইয়ের আব্দুর রহমান স্ট্রিটে। কলকাতার সন্তোষপুরের ওই সংস্থার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় ওই দুটি অফিসে। দিল্লি ও মুম্বাইয়ের ওই সংস্থার কর্মকর্তা তথা রোহিত ও অভিনাশ নামে দুই জনের সঙ্গে ফোনালাপ হয় কলকাতা সংস্থার কর্মকর্তাদের।

ওই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সরবরাহকারী সংস্থা কলকাতার ওই সংস্থার কাছে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সরবরাহ করবেন বলে জানান। তবে তার জন্য অগ্রিম কিছু টাকা জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়। এরপরই কলকাতা সংস্থার পক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭০০ টাকা বাঙ্ক মারফৎ পাঠানো হয়। তবে টাকা পাঠানোর পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ওই সংস্থার কর্মকর্তারা। এরপরই হতভম্ব হয়ে পড়েন কলকাতা সংস্থার কর্মকর্তারা।

এরপরই তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সার্ভে পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে।