mithun chakraborty, jagdeep dhankhar, মিঠুন চক্রবর্তী, জগদীপ ধনখড়
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বঙ্গে একুশের বিধানসভা নির্বাচন ভোট সম্পন্ন হয়েছে। তবে বাংলার নীল বাড়ি কার দখলে যাবে সেটা নির্ধারিত হবে আজ। আর কিছুটা সময় মাত্র তার পরেই শুরু হবে ভোট গণনা।

তবে ভোট গণনার আগের দিনেই রাজ্যের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে উপস্থিত হলেন মিঠুন চক্রবর্তী। রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড় এর ডাকে মিঠুন চক্রবর্তী গিয়েছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। তবে মহাগুরুর সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর সাক্ষাৎকার ঘিরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

গতকাল শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গিয়েছিলেন বিজেপির তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তী। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে কথপোকথনও হয়। তবে এই বিষয়টিকে সৌজন্য সাক্ষাতকার বলেই জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফ থেকে।

বিধানসভার নির্বাচন ভোটে বিজেপির প্রার্থী না হলেও নির্বাচনী প্রচারে বড় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচন শুরু থেকেই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন জনসভায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে। এমনকি বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে বিভিন্ন স্থানে এই চড়া রোদের মধ্য দিয়ে রোডশো করতেও দেখা গিয়েছে তাকে। রীতিমতো তিনি “সোনার বাংলা” গড়ার উদ্দেশ্যেই মহাযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে।

আরও পড়ুনঃ “অগ্নিমিত্রার মতোই শিক্ষিত, ভদ্র বিধায়ক চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী” – মিঠুন চক্রবর্তী

একমাস ব্যাপী ভোট উৎসব সম্পন্ন হয়েছে, আজ তার ফল প্রকাশ হতে চলেছে। বাংলায় “উন্নয়ন” ও “সোনার বাংলা” গড়তে কোন সরকার ক্ষমতায় আসছে সেটাই আজ নির্ধারিত হবে। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী বিভিন্ন রকম রিপোর্ট সামনে উঠে এসেছে। কিছু কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে আছে। আবার কিছু কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পদ্ম শিবির এগিয়ে। এবার বাংলায় গদি টানাটানির খেলা আজ শেষ হতে চলেছে। তবে গতকাল শনিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারকে ঘিরেই ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে মিঠুন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কোন প্রকার রাজনীতি নিয়ে কথোপকথন হয়নি রাজ্যপালের সঙ্গে। মহাগুরু জানিয়েছেন, আমি যখন অসুস্থ ছিলাম তখন রাজ্যপাল আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। এখন সুস্থ হয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে এলাম। দুজনে মিলে চা খেলাম, একটু আড্ডা মারলাম, ব্যাস ! এটুকুই জানালেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী।