পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার বিধানসভা ভোট। গতকাল চতুর্থ দফার ভোটের শেষ প্রচারের দিন ছিল। বেহালার পশ্চিমে বিজেপির প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
বেহালার পশ্চিমে শ্রাবন্তীর হয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শো করার কথা ছিল। কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শো করার অনুমতি মেলেনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র বিজেপির কর্মী সমর্থকদের নিয়ে থানায় পুলিশ অফিসারদের উপরে চড়াও হন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
অনুমতি না মেলায় বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। স্থানীয় নেতারা পর্ণশ্রী থানার সামনে গিয়ে জমায়েত করে। মিঠুন চক্রবর্তীর রোড অনুমতি না মেলায় বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় বিনা অনুমতি ছাড়াই একটি সুসজ্জিত মিছিল শুরু করে।
মিছিলটি বেহালা এয়ারপোর্ট এর কাছ থেকেই শুরু হয়। মিছিল শুরু করার মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ এবং তাদের মিছিল বন্ধ করার অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি কর্মীরা।
এ নিয়ে অনেকক্ষণ বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। এছাড়াও শ্রাবন্তীর অভিযোগ, “আজকে তার শেষ প্রচার কিন্তু প্রচারে অনুমতি দেওয়া হয়নি পুলিশের তরফ থেকে।” তিনি পর্ণশ্রী থানাতে যান এবং তিনি জানিয়েছেন, “থানার ওসি ও ছিলেননা, অ্যাডিশনাল ওসির সঙ্গে কথা বললাম।” বিজেপির প্রার্থীর দাবি পুলিশ তাকে জানিয়েছে যে “অন্য একটি দলের রোড শো থাকায় ওই সময়ে মিঠুনের রোড শো করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব হয়নি।”
অন্য দলের রোড শো কোথায় হচ্ছে ? জানতে চাইলে পুলিশের কাছে তার সঠিক জবাব মেলেনি। পুলিশের কাছে কোন জবাব নেই। অভিনেত্রীকে সর্বদাই দেখা গিয়েছে শান্তশিষ্ট স্বভাবের মানুষ তিনি। কিন্তু আজ ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বললেন, “আমি দেখে নেব। আজ আমরা রোড শো করবো, দেখে নেব কারা আমাদের আটকায়। তিনি হাত তুলে তুলে বললেন বেহালা পশ্চিমের মানুষেরা সব দেখেছে একটা মেয়েকে কিভাবে আটকানো হচ্ছে।”

বিজেপি সূত্রে খবর, গত বুধবার মিঠুনের রোড শো এর জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল কিন্তু রাত ৮ টা নাগাদ সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। রোড শো কেন করতে দেওয়া হলো না! পুলিশকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে ? কোনো উত্তর পাওয়া যায় না বলে বিজেপির দাবি।
মিঠুন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “ভোট প্রচারে গিয়ে আমি কোন জায়গায় কারো সম্পর্কে খারাপ কথা বলিনি যাতে উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে তার পরেও কেন অনুমতি দেওয়া হল না সেটা পুলিশি বলতে পারে।”