পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ কৃষ্ণনগর উত্তর-এর বিধায়ক মুকুল রায় অসুস্থ। বর্তমানে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। জানা গিয়েছে, চাণক্য রাজনীতিবিদ মুকুল রায়ের শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম এর মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা বেশি রয়েছে। যার কারণে একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে তার শরীরে।
এর পাশাপাশি ডায়াবেটিসেরও সমস্যা রয়েছে মুকুল রায়ের। তৃণমূল নেতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত কয়েক মাস ধরেই ভুগছেন মুকুলবাবু। শারীরিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েছেন তিনি। তবে চিকিৎসকদের কথায়, মুকুলবাবুর শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম এর ভারসাম্য বজায় থাকছে না। আজ বৃহস্পতিবার শারীরিক অসুস্থতার কারণেই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি।
মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই কারণে এসএসকেএম হাসপাতালে উর্বান ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন বিজেপি দলত্যাগী তথা বর্তমান তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থা।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বর্তমানে বাংলার রাজনীতির চাণক্য বলে নাম যশ করেছেন মুকুল রায়। তবে এই চাণক্য রাজনীতিবিদের অসুস্থতার খবর পেয়ে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু-কে ফোন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ। শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর পাশাপাশি রায় পরিবারের পাশে থাকার কথা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করার কয়েক দিনের মধ্যেই তৃণমূলে যোগদান করেন মুকুল রায়। তারপর থেকেই তিনি বেশ কয়েকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তবে বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় জানিয়েছেন, “মা চলে যাওয়ার পর বাবার মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। উনি অনেক কিছুই ভুলে যাচ্ছেন। আর এই কারনেই ভুল মন্তব্য করে বসেছেন।”
জানিয়ে রাখি, বেশ কিছুদিন আগে মুকুল রায় ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা রায় একই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত হন। তবে কৃষ্ণা দেবীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায়, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অন্যদিকে মুকুল রায় বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইন করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কৃষ্ণা দেবি।