পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের বৃহত্তম আধা সামরিক বাহিনী হল সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ। সিআরপিএফের পক্ষ থেকে তাদের কর্মী-সংক্রান্ত বিতর্ক এড়ানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ধরনের বিতর্কিত বা রাজনৈতিক বিষয়ক মন্তব্য করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে সিআরপিএফের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে কয়েকটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকাতে সিআরপিএফ জওয়ানরা কি কি করতে পারবেন না, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আপনারা ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এ এমন কিছু মন্তব্য এবং বক্তব্য পেশ করবেন না যা সরকার বা আপনার নিজের সুনামের ক্ষতি করতে পারে। কোন পাবলিক ফোরামে রাজনৈতিক, ধর্মীয় অথবা সরকারি নীতির বিরুদ্ধে বিবৃতি দেবেন না। বিতর্কিত, সংবেদনশীল এবং রাজনৈতিক কোন মন্তব্য পেশ করা থেকে বিরত থাকবেন।
এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের রাগ, ক্ষোভ কিংবা মত্ত অবস্থায় কোন পোস্ট করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে। গত সপ্তাহে সিআরপিএফ-এর দিল্লির সদর দপ্তর থেকে দুই পৃষ্ঠার এই নির্দেশনামা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে সিআরপিএফের কর্মীরা তাদের ব্যক্তিগত ক্ষোভ, রাগ, চাওয়া, না পাওয়ার অভিযোগগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করছে।
যা মূলত সিসিএস আচরণবিধির ১৯৬৪ ধারাকে উলঙ্গন করে। কর্মীদের এমন কাজের জন্য তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। সেই কারণে সিআরপিএফের পক্ষ থেকে কর্মীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, কোন কর্মী যদি কোন রকম সংবেদনশীল মন্ত্রণালয় বা কোন সরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করে থাকে তাহলে নিজের পদ এবং কাজের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে কোন তথ্য সামাজিক মাধ্যমে যেন প্রকাশ না করে।
কোন কর্মীর যদি প্রতিষ্ঠানের প্রতি কোন অভিযোগ বা অনুযোগ থাকে, তাহলে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অফিসিয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সেই অভিযোগ জানাতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়গুলো নিয়ে পরবর্তীকালে আলোচনা করে দেখা হবে। কিন্তু কোন সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট কর্মীদের অফিস সংক্রান্ত কোন অভিযোগ জানানোর জন্য উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম নয়।
ওই নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, কোন অ-অনুমোদিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এমন কিছু শেয়ার করবেন না যা প্রতিপক্ষকে তথ্য সংগ্রহ করার সুযোগ দিতে পারে। কর্মীদেরকে নিজেদের তথ্য জানান দেওয়া এবং মতামত প্রকাশের মধ্যে পার্থক্য নিশ্চিত করে তবেই কোন পোস্ট করতে বলা হয়েছে।
এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মে তারা যে কোনো সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন না সেই মনোভাবও স্পষ্ট রাখতে হবে। কর্মীদের সর্বদা মনে রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে কোন মতামত প্রকাশের পর তার পরবর্তী দায়ও সেই কর্মীর উপরেই বর্তাবে।