পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রতিদিনই দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারত করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের নিরিখে উঠে এসেছে প্রায় দ্বিতীয় নম্বরে। সেক্ষেত্রে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য বিশেষ করে দিল্লী, পশ্চিমবঙ্গে, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব এ করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি মুহূর্তে লাফিয়ে বাড়ছে।
পশ্চিমবঙ্গে আবার এর সাথে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন সভা এবং রোড শো কে কেন্দ্র করে জনতা সমাবেশ হচ্ছে আর তার ফলে আরও মারাত্মক আকার নিচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা সচেতনতার অভাবও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বাড়াবাড়ির আরও একটি অন্যতম কারণ।
এমত অবস্থায় করোনা মোকাবিলায় নবান্ন থেকে জারি করা হয়েছে কিছু নতুন নির্দেশিকা। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে জারি হওয়া নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। সরকারি এবং বেসরকারি কর্মীদের জন্য যেমন লাগু করা হয়েছে অনেক নতুন নির্দেশ, তেমনই সাধারন মানুষের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং সোশ্যাল ডিসটেনস এই তিন জিনিসের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সরকারি এবং বেসরকারি কর্মচারীদের জন্য যে সব নির্দেশিকা জারি হয়েছে সেগুলি হল, সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে মানতে হবে রোটেশান পদ্ধতি। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে রোটেশান পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে। অন্যদিকে বেসরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ফের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
এছাড়াও বাড়ির বাইরে বেরোলে এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করলে অবশ্যই মাস্ক, স্যানিটাইজার বাধ্যতা মূলক। আবার বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়ে সোশ্যাল ডিসটেন্স এর ওপর। এছাড়াও সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল, কারখানা এবং বাণিজ্যিক ভবন গুলি রাতারতি জীবাণু মুক্ত করতে হবে।
এছাড়াও সমস্ত শপিং মল, সিনেমা হল, এবং বিভিন্ন পাবলিক জায়গায় ফের চালু করতে হবে থার্মাল স্ক্যানিং। এছাড়াও এই সমস্ত নির্দেশিকা সহ আরও অনেক রকম সতর্কতা মূলক বিধি নিষেধ এবং নিয়ম জারি করেছে নবান্ন এছাড়াও এই সমস্ত নিয়মের লঙ্ঘন হলে সঙ্গে সঙ্গে জরিমানা এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির কথাও জানিয়েছে রাজ্য সরকার।