পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ মঙ্গল গ্রহের মাটি ছুল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘পারসিভিয়ারেন্স’ রোভার। প্রায় সাত মাস ধরে মহাকাশে চক্কর কাটার পর শেষমেশ মঙ্গলের মাটি ছুল বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ।
ফের আর একবার ইতিহাসের পাতায় রেকর্ড সৃষ্টি করল নাসা। কঠিন থেকে কঠিনতম প্রক্রিয়া কে সম্ভব করে দেখালো নাসার বৈজ্ঞানিক। মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সন্ধান করতে এমন পদক্ষেপ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার। মঙ্গল গ্রহে আদেও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা বা আগে কখনো ছিল কিনা সেটাই অনুসন্ধান করার উদ্দেশ্য ‘পারসিভিয়ারেন্স’ কাজ করবে।
Miss my landing? Catch the highlights below.
Send us your own highlights too. Share your pictures and video using #CountdownToMars. pic.twitter.com/OL2wSAi36e
— NASA’s Perseverance Mars Rover (@NASAPersevere) February 19, 2021
নাসার তরফ থেকে পাঠানো ‘পারসিভিয়ারেন্স’ এ রয়েছে বিশেষ যন্ত্রপাতি এবং অটোমেটিক যন্ত্র। যেগুলি মঙ্গল গ্রহে কি ঘটছে নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে মুহূর্তের মধ্যেই সংবাদ পৌঁছে দেবে। ইতিমধ্যেই মঙ্গল গ্রহের লাল মাটির তোলা প্রথম ছবি পেল নাসা। এবং সেটিকে বিশ্ববাসীকে দেখানোর উদ্দেশ্যে নাসার তরফ থেকে টুইট করে জানিয়েছে, “হ্যালো ওয়ার্ল্ড মাই ফাস্ট লুক অ্যাট মাই ফরএভার হোম”। প্যারা ‘পারসিভিয়ারেন্স’ প্রথম তলা একটি সাদা কালো ছবি দেখছে বিশ্ববাসী।
Hello, world. My first look at my forever home. #CountdownToMars pic.twitter.com/dkM9jE9I6X
— NASA’s Perseverance Mars Rover (@NASAPersevere) February 18, 2021
নাসার তরফ থেকে পাঠানো ‘পারসিভিয়ারেন্স’ এতে রয়েছে একটি বিশেষ যন্ত্র। যেটি মঙ্গল গ্রহের বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন তৈরি করা সম্ভব হবে কিনা সেটা ওই যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করা হবে। এই সাফল্যের পেছনে বিশেষ অবদান রয়েছে চারজন ভারতীয়ের। স্বাতী মোহন, ডে বব ববলরম, অনুভব দত্ত ও সৌম্য দত্ত। তার মধ্যে দুই বাঙ্গালী আজ নিজের জায়গা থেকে সাফল্য। মঙ্গল গ্রহে পা রাখার উদ্দেশ্যে দিনরাত এক করে কঠোর পরিশ্রম করে সাফল্য পেলেন বর্তমানের সৌম্য।
‘পারসিভিয়ারেন্স’ রোভার এর পাঠানো তথ্য দিয়ে এবার মঙ্গল গ্রহে প্রাণ আছে কিনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে নাসা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে করতে প্রায় কয়েক বছর সময় লেগে যাবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার।