পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল ভারতবর্ষ। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছে, খুব শিগগিরই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে এবং তাতে অধিকহারে আক্রান্ত হবে শিশুরা। এমত অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন-এর বক্তব্য, ভারতে করোনার ‘ন্যাজাল’ ভ্যাকসিন শিশুদের জন্য গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করতে পারে।
ভারতবর্ষে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া অনেকদিন আগে থেকেই চালু হয়ে গিয়েছে। ৪৫ বছর এবং তার উর্ধে বয়সী ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। এরপর ১৮ বছর থেকে তার উর্ধে বয়সীদের ভ্যাক্সিনেশন শুরু হয়। কিন্তু তার কমবয়সীদের ভ্যাক্সিনেশন এখনো ভারতবর্ষে চালু হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে শিশুদের জন্য ন্যাজাল ভ্যাকসিন মানুষকে আশার আলো দেখাচ্ছে।
সৌম্য স্বামীনাথন জানান, আরও বেশিসংখ্যক শিক্ষকদের মধ্যে ভ্যাক্সিনেশন পদ্ধতিটি চালু করতে হবে। তার মন্তব্য, কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের ঝুঁকি খানিকটা কমে গেলে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো দরকার। ভারতে তৈরি শিশুদের জন্য বিশেষ ‘ন্যাজাল’ ভ্যাকসিন গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ করা সহজ হবে। এছাড়াও রেপেরটরি ট্র্যাকগুলিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে এই ভ্যাকসিন।
এই ধরনের ভ্যাকসিন নাক দিয়ে প্রয়োগ করা হয়। ন্যাজাল ভ্যাকসিন সাধারণত ইনজেকশন ভ্যাকসিনের থেকে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ করা সরল হবে।
গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের সদস্য ডাক্তার ভি কে পল মন্তব্য করেন, করোনার তৃতীয় তরঙ্গে শিশুরাও অধিকহারে আক্রান্ত হতে পারে। তবে তাদের লক্ষণ খুবই কম থাকবে। তাই তাদের শরীরে এই রোগের প্রভাব কম পড়বে। হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়বে না। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্য, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে বাচ্চারা।
হায়দ্রাবাদে অবস্থিত ভারত বায়োটেক নামক সংস্থাটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে। নাকের মধ্যে এই ‘ন্যাজাল’ ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হবে। এখনো পর্যন্ত ১৭৫ জনের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনটি দলকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বিভক্ত করে এই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় বিভাগে ৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং তৃতীয় বিভাগে ৩৫ জন স্বেচ্ছাসেবক এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।