পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই মূল্যবান গহনা বা মূলধন রাখে ব্যাঙ্কের লকারে। ফলে লকার থেকে সেই গহনা বা মূলধন চুরি অথবা ক্ষতি হলে তার দায় পড়ে সেই ব্যাঙ্কের ওপর। তাই নতুন বছরের ১লা জানুয়ারি থেকেই আরবিআই-এর(RBI) তরফে জারি হয়েছে এক নতুন নির্দেশিকা।
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ২০২১ সালের ৪ই আগস্ট নতুন নির্দেশিকা ঘোষণা করেছিল আর তা কার্যকর হয়েছিল ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে। সেই নির্দেশিকায় আরবিআই (RBI) বলেছিল, ব্যাঙ্কের সেফ ডিপোজিট ভল্টগুলি নিরাপত্তায় রাখা ব্যাঙ্কের দায়িত্ব।
এবারের নয়া নির্দেশিকায় আরবিআই জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের গাফিলতির কারণে ব্যাঙ্কের লকার থেকে যদি কোনো মূলধন নষ্ট হয় তাহলে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সেই ব্যাঙ্ককেই। এছাড়া আরো জানিয়েছেন যে, চুরি ডাকাতি বা আগুন লেগে নষ্ট হয়ে গেলেও সেই ব্যাঙ্কের চার্জের ১০০ গুণ পেতে পারেন গ্রাহকরা।
তাই আরবিআই জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের লকার নিরাপদে রাখতে গেলে সমস্ত ব্যাঙ্ককে এই নতুন নিয়ম মেনে ব্যাঙ্কের লকার হোল্ডারদের কাছে একটি নতুন লকার চুক্তি করতে হবে। এরপর সেই সমস্ত ব্যাঙ্কের লকার হোল্ডারদের সেই লকার এগ্রিমেন্ট পেপারে স্বাক্ষর করতে হবে। ফলস্বরূপ, ব্যাঙ্কের লকার নিরাপত্তায় নিশ্চিত থাকবে।
এছাড়াও আরবিআই জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের লকার নিরাপদে রাখা ব্যাঙ্কের দায়িত্ব। তাই ব্যাঙ্কের লকারের মধ্যে থাকা মূলধন যাতে নিশ্চিতভাবে সুরক্ষিত থাকে তার জন্য প্রত্যেক ব্যাঙ্কগুলিতে সিসিটিভি থাকা বাধ্যতামূলক। যার ডেটা থাকবে ১৮০ দিনের জন্য। এছাড়া তিন বছরের জন্য লকার হোল্ডারদের ভাড়াও দিতে হবে সেই ব্যাঙ্ককে।
এর পাশাপাশি লকার সংরক্ষণের জন্য গ্রাহকদের এসএমএস সতর্কবার্তারও নির্দেশ দিয়েছেন আরবিআই। আরবিআই জানিয়েছেন, এবার থেকে লকার হোল্ডাররা তার লকার অ্যাক্সেস করার সময় তাদেরকে সেই ব্যাঙ্ককে এসএমএস বা ইমেইল পাঠাতে হবে। এর ফলে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে পারে লকার হোল্ডাররা।