পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ করোনা টিকা করন শুরু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ভ্যাক্সিনেশন করাই একমাত্র পথ। বর্তমানে আলাদাভাবে পরিযায়ী শ্রমিক ও হকারদের-কে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার।
তবে এবার নয়া উদ্যোগ নিতে চলেছে কলকাতা পৌরসভা। একটি ফোন করলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে করোনা টিকা। কলকাতা পৌরসভার এই ‘ভ্যাকসিন অন কল’ কর্মসূচী কয়েকদিনের মধ্যেই চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক তথা পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানা যাচ্ছে, নিউটাউনে দুয়ারে ভ্যাকসিন কর্মসূচি চালু হয়ে গিয়েছে।
“ভ্যাকসিন অন কল” এই কর্মসূচির উদ্দেশ্যে পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক ও পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন জানিয়েছেন, “কেন্দ্র সরকার চাহিদা মেনে রাজ্যকে ভ্যাকসিন দিচ্ছে না। তাইতো দৈনিক ৫০ হাজারের পরিকাঠামো তৈরি করেও মানুষকে টিকা দিতে পারছি না। যদি পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পেয়ে যাই, তবে ভবিষ্যতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দিয়ে আসবেন পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা।”
উল্লেখ্য, গতকাল দেশের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী দেশের সমস্ত রাজ্যের মানুষকে বিনা মূল্যে টিকাকরণ করার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন উৎপাদন এর ৭৫ শতাংশ মূল্য কেন্দ্র সরকার নিজেই বহন করবে এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সরবরাহ করবে। আগামী ২১ শে জুন সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ১৮ বছরের উর্ধ্বে সমস্ত মানুষকে টিকাকরণ করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এমন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সরব হলেন ফিরহাদ হাকিম। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, “ভাষণে তো উনি অনেক কিছুই বলেন, সেগুলি কার্যকর হয় না। রাজ্যে কবে ভ্যাকসিন পাঠাবেন? কিভাবে পাঠাবেন? সেগুলি তো উনি কিছুই বলেননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন সমস্ত রাজ্যের মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামুল্যে করোনা টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্র সরকার ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে না বলেই তো আমাকে বিভিন্ন গোষ্ঠী বা স্তরে ভাগ করে ভ্যাকসিন দিতে হচ্ছে।”
৬০ বছরের উর্ধ্বে প্রবীণ থেকে শুরু করে সুপার স্পেন্ডার, হকার ও দোকানদারকে রীতিমতো টিকাকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে পৌরসভা। পৌরসভার রিপোর্ট অনুযায়ী ২১ লক্ষ মানুষকে টিকা করন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৬০ বছরের উর্ধ্বে প্রবীণ মানুষরা ভ্যাকসিন সেন্টারে এসে টিকা নিতে পারেননি। সেই মর্মে নয়া উদ্যোগ কলকাতা পৌরসভার।
৬০ বছরের উর্ধ্বে প্রবীণ মানুষদের উদ্দেশ্যে এদিন ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “টাকা দিয়েও পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন কিনতে পারছি না। যেহেতু আমাদের কাছে কম ভ্যাকসিন রয়েছে তাই সেন্টারে আসা সুপার স্পেন্ডার, হকার ও দোকানদার-দেরকে আগে ভ্যাকসিন দেবো। তারপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে।”