করোনা ভাইরাস, লক ডাউন, নাইট কার্ফু
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সারা দেশে করোনা ভাইরাস আগুনের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এমত অবস্থায় করোনা ভাইরাসের চেনকে ভাঙ্গার একমাত্র উপায় হল মানুষের মধ্যে সোশ্যাল ডিসটেনস তৈরি করা। সেক্ষেত্রে এখন একমাত্র পথ হল সমস্ত দেশে আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ লক ডাউন।

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এর হাত থেকে বাঁচতে বর্তমানে তৈরি করতে হবে রণকৌশল। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় গৃহ সচিব অজয় ভাল্লা সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের কনটেনমেনট জোন নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক একেবারে গ্রাউনড লেভেলে গিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন সমস্ত আধিকারিকদের।

এছাড়াও করোনা সংক্রমিত এলাকায় যত দ্রুত সম্ভব ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। আইএএস ভাল্লা জানিয়েছেন যে, দ্রুত সংক্রমিত এলাকায় যেমন ব্যবস্থা নিতে হবে, তেমনই যেসমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে এখনও করোনা সংক্রমণ সেরকম ভাবে ছড়ায়নি সেই সমস্ত জায়গায় কড়া নির্দেশিকা জারি করতে হবে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়।

অন্যদিকে যে সমস্ত হাসপাতালে ৬০ শতাংশ বেড ইতিমধ্যে ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে সে সমস্ত হাসপাতালে ১৪ দিনের প্রতিবন্ধকতা লাগু করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। যেহেতু প্রতি সপ্তাহে ১০ শতাংশ করে সংক্রমণ বাড়ছে সেহেতু সমস্ত রেড জোন এলাকায় নাইট কার্ফুর নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

এছাড়াও সমস্ত রাজ্য ভিত্তিক এবং জেলা ভিত্তিক নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত জেলা আধিকারিকদের। সমস্ত রকম সামাজিক, রাজনৈতিক, খেলা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, মনোরঞ্জন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিয়েবাড়ি এবং সংস্কারের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ৫০ জন এবং ২০ জন।

শপিং মল, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, বার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, জিম, স্পা, সুইমিং পুল এবং ধর্মস্থানও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে যান পরিষেবা এবং সমস্ত অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা। শুধুমাত্র বাঁধা থাকবে না অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবায় এবং রাজ্য ভিত্তিক পণ্য সরবরাহে। কর্মস্থলে কর্মচারী সংখ্যাও অর্ধেক করে দেওয়া হবে।