পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ দেশের কোটি কোটি কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে আসছে কেন্দ্র সরকার। তবে এরই মধ্যে নয়া একটি প্রকল্প নিয়ে এসেছে কেন্দ্র সরকার। সেটি হচ্ছে ‘কিষাণ মানধন যোজনা’। কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পে চাকরিজীবীদের মতোই কৃষকরাও পাবেন পেনশন।
কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পে কৃষকরা ৬০ বছর বয়সের পর পেনশন পাবেন। তবে পিএম কিষান মানধন যোজনায় আবেদন করতে পারবেন ১৮ থেকে ৪০ বছরের কৃষকরা। এই যোজনায় প্রতিমাসে কৃষকরা ৩ হাজার করে টাকা পাবেন। অর্থাৎ বছরে ৩৬ হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে কৃষকদেরকে।
তবে এই পেনশন পেতে গেলে মান্থলি প্রিমিয়াম দিতে হবে ৫৫ থেকে ২০০ টাকা করে। বর্তমানে কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পে ২১ লক্ষেরও অধিক কৃষকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন।
কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধা তারাই উপভোগ করতে পারবেন, যাদের ২ হেক্টর পর্যন্ত চাষের জমি রয়েছে। তবে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে আপনাকে ন্যূনতম ২০ বছর কিংবা ৪০ বছর পর্যন্ত প্রায় ৫৫ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত প্রিমিয়াম প্রতি মাসে দিতে হবে। এই প্রকল্পে কৃষক যত টাকা যোগদান করবে, ঠিক ততটাই সরকার যোগদান করবে। অর্থাৎ কৃষক যদি প্রতিমাসে ৫৫ টাকা প্রিমিয়াম দেয় তার পরিবর্তে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হবে ৫৫ টাকা।
কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পে কৃষককের নাম নথিভুক্ত করার জন্য পার্শ্ববর্তী কমন সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে। নাম নথিভুক্ত করানোর জন্য প্রয়োজন হবে আধার কার্ড, জমির পর্চা ও দুটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং ব্যাংকের পাস বুক। নাম নথিভুক্ত করানোর সময় কৃষককে দেওয়া হবে পেনশন কার্ড ও পেনশন ইউনিক নম্বর। তবে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করাতে কোনোরকম ফী দেওয়া লাগবে না ।
প্রতিমাসে কত টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে ? তা সম্পূর্ণ কৃষকের বয়সের উপর নির্ভর করবে। যদি কোন কৃষক ১৮ বছর বয়সে এই যোজনা শুরু করে, তাহলে তাকে প্রতি মাসে ৫৫ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি বছরে তাকে ৬৬০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে। পাশাপাশি ৪০ বছর বয়সে যদি কোন কৃষক এই যোজনা নাম নথিভুক্ত করেন তাহলে তাকে ২০০ টাকা প্রতি মাসে প্রিমিয়াম দিতে হবে। অর্থাৎ বছরে তাকে ২৪০০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে।
কোন কৃষক যদি এই যোজনা চালাতে চালাতে হঠাৎ যোজনা বন্ধ করে দেয়, তাহলে ততদিন পর্যন্ত জমা টাকা গচ্ছিত হিসেবেই থাকবে। এই যোজনা যতদিন আপনি চালিয়ে আসবেন অর্থাৎ টাকা জমা করবেন, তাতে ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট এর সুদের হারের হিসেবে সুদ দেওয়া হবে। এই যোজনায় যদি পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু হয় তাহলে তার স্ত্রী টাকা পাবে।