smart meter in west bengal, smart meter, arup biswas, পশ্চিমবঙ্গে স্মার্ট মিটারের পরিকল্পনা, স্মার্ট মিটার, অরূপ বিশ্বাস
বাড়ি গিয়ে ইউনিট চেক করার দরকার নেই, রাজ্যে বসতে চলেছে ৩৭ লক্ষ স্মার্ট মিটার | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে শুরু হতে চলেছে নতুন প্রকল্প। এবার থেকে প্রত্যেক বাড়িতে বসানো হবে স্মার্ট মিটার। এমনটাই জানালেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। গোটা রাজ্য জুড়ে মোট ৩৭ লক্ষ স্মার্ট মিটার বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের সরকার।

বিধানসভায় বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান যে, বিদ্যুৎ বন্টন পর্ষদের এলাকায় ২ কোটি কুড়ি লক্ষ গ্রাহক রয়েছে স্মার্ট মিটারের জন্য। ওই সকল গ্রাহকদের ধাপে ধাপে স্মার্ট মিটার দেয়া হবে। এছাড়াও তিনি ওই দিন জানান, সিইএসসি-র গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে ৩৩ লক্ষ। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে ৮৭টি সাব স্টেশন তৈরি করা হবে।

রাজ্য সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এবার থেকে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীদের প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আর দেখে আসতে হবে না মিটারের রিডিং। এবার থেকে অফিসে বসেই দেখতে পারবেন গ্রাহকদের বিদ্যুতের ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য। এখন আপাতত ৩৭ লক্ষ মিটার বসানো হবে বিদ্যুৎ বন্টন পর্ষদের এলাকায়। তারপর ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে ‘এই স্মার্ট মিটার’ বসানোর কাজ এমনটাই জানিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হবে ধীরে ধীরে। সকল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হবে এই স্মার্ট মিটার। প্রকল্পের জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরের কাজের সুবিধার কথা  জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বিরোধীদের একাংশের মনে প্রশ্ন, হয়তো প্রিপেইড মিটার চালুর প্রথম ধাপ স্মার্ট মিটার বসানো। ভবিষ্যতে এই প্রিপেইড মিটারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য আগে থাকতেই রিচার্জ করতে হবে। প্রিপেড মিটারটি প্রধানত চলে ফোর-জি প্রযুক্তি উপর ভিত্তি করে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পটি উত্তরপ্রদেশে লাগু করা হয়েছে।

এদিন বিধানসভার এক প্রশ্নের উত্তর মারফত বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, গোটা রাজ্য জুড়ে ৩৭ লক্ষ স্মার্ট মিটার বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই স্মার্ট মিটার বসানো প্রকল্পের জন্য ব্যয় হবে ১১ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। এই টাকার মধ্যে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে দিতে হবে ৬০ শতাংশ অর্থ। এছাড়াও বাকি ৪০ শতাংশ অর্থ দিতে হবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তিনি আরও বলেন, গুজরাটে বিদ্যুৎ ভালোভাবেই যায়, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে।