পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সরকারি চাকরি মানে সুখের চাকরি। এমন বহু সরকারি দপ্তর আছে যেখানে কর্মচারীরা হেলতে দুলতে ঢোকেন, গুছিয়ে কাজ না করেই দৌড় লাগান বাড়ির পথে। তবে এইসব আরামের দিন বোধহয় শেষ হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি অফিসগুলোতে বসাতে চলেছে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম (Biometric Attendance)।
বাম আমলে এরকম বহু ঘটনা ঘটেছে – যে ঠিক সময় মত সরকারি কর্মচারীরা অফিসে পৌঁছতেন না। কোন কোন ব্যক্তি আবার মাত্র ৩ – ৪ ঘন্টা কাটিয়েই বাড়ি চলে আসতেন। না সময়মতো ঢোকা না সময়মতো বেরোনো কিছুই ঠিক ছিল না তাদের। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর এই বেহাল অবস্থার বেশ কিছুটা পরিবর্তন এনেছিলেন। সরকারি কর্মচারীদের ওপর কড়া দৃষ্টি রাখতেন তিনি।
যার ফলে ঠিক সময় অফিস পৌঁছানো, সময় ধরে কাজ করা বা বেফালতু কারণে ছুটি না নেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আবারো সেই অভ্যাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ডিএ আন্দোলন কর্মসূচির জন্য। রাজ্য সরকার ভেবেছিলেন জরুরি ভিত্তিক কারণে হয়তো ছুটি নিচ্ছেন কর্মচারীরা। পরে জানা যায়, ডিএ নিয়ে আন্দোলন, ধর্মঘট এসব কর্মযজ্ঞে যোগদান করে কর্মচারীরা দিনের পর দিন ছুটি নিচ্ছেন।
তাই তাদের এই বাড়বাড়ন্তকে লাগাম দেওয়ার জন্য অফিসে অফিসে বসতে চলেছে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স। জেলার প্রশাসনিক অফিস থেকে শুরু করে ব্লক অফিস, মহাকুমা কার্যালয়, মুখ্য প্রশাসনিক অফিস সব জায়গায় বসতে চলেছে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স-এর মেশিন।
আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন অফিসে হঠাৎ পরিদর্শনে যান। তারপরেই তার চোখে ধরা পড়ে বহু খালি চেয়ারের দৃশ্য। তাই তিনি ঠিক করেন রাজ্যের সব গ্রেডের মানুষের জন্যই থাকবে একই নিয়ম। সকাল ১০টায় অফিসে ঢুকতে হবে আর ৫টায় ডিউটি শেষ করে বেরোতে হবে। থাকবে না কোন রেজিস্টার খাতার ঝামেলা।