করোনা ভাইরাস, কোভিড- ১৯, চীন
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের প্রথমবর্ষের দেড় বছর হয়ে গেলেও দ্বিতীয় ঢেউ আবারও সারা বিশ্বে একেবারে মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাসের মারাত্মকতায় একেবারে জর্জরিত গোটা বিশ্ব। ভারতেও করোনা ভাইরাসের দাপটে নাজেহাল দেশবাসী। তবে করোনা ভাইরাস পুরনো হলেও এর দ্বিতীয় ঢেউ এর উপসর্গ গুলির মধ্যে দেখা দিচ্ছে খানিকটা পরিবর্তন।

করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে যে নতুন উপসর্গ গুলি দেখা যাচ্ছে তা আগের উপসর্গ গুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রুগীর জ্বর, শ্বাস কষ্ট, স্বাদ গন্ধে পরিবর্তন এবং শ্বাস নিতে কষ্ট সেগুলিতো থাকছেই তার সাথে থাকছে নতুন কিছু উপসর্গ।

বর্তমানে করোনা ভাইরাস নিয়ে চীনে করা নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন কিছু তথ্য। সেই গবেষণায় গোলাপী চোখ বা কঞ্জেকটিভাইটিস বলে একটি উপসর্গ উঠে এসেছে যাকে করোনার বা কোভিড- ১৯ এর নতুন উপসর্গ হিসেবে গন্য করা হচ্ছে। এই উপসর্গের লক্ষণগুলি হল গোলাপী চোখের মধ্যে লাল, ফোলাভাব এবং মাঝে মাঝেই চোখে জল চলে আসা।

এছাড়াও মারাত্মক কিছু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মানুষের শোনার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। আপাতত ৬৫ জনের মধ্যে সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ২৪ জনের শ্রবণ শক্তি কমে গেছে। এছাড়াও অন্যান্য যে উপসর্গগুলি করোনা আক্রান্ত মানুষের ক্ষতি করছে সেগুলি হল, হজম শক্তি একেবারে কমে যাচ্ছে মানুষের।

এর সাথে ডায়ারিয়া, বমি, পেটে ব্যাথা দেখা দিচ্ছে। যারাই হজমের সমস্যায় ভুগছে বা জ্বর হলে চোখে কিংবা কানে কম শুনছে তাদেরকে অবিলম্বে করোনা পরীক্ষা করার উপদেশ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ এর জন্য বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন সাধারণ মানুষের কেয়ারলেস ভাবকে। যেখানে এখনও মাস্ক পরা, স্যানিটাইজেশন এবং সোশ্যাল ডিস্টেনসিং এর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা সেখানে সাধারণ মানুষ কোনও নিয়ম মানছে না। ফলে মারাত্মক আকার নিয়েছে করোনা ভাইরাস।