পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ প্রায় অনেক বছর পর এক নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। ছেলে ধরা আতঙ্ক এখন প্রায় শোনা যায় না বললেই চলে। তবে ছেলে ধরা বা বাচ্চা চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো জলপাইগুড়ি জেলার মণ্ডল ঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের রানী কামাত গ্রামে।
সূত্রের খবর, মণ্ডল ঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের রানী কামাত গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিমা রায়। তিনি দিন দশেক হলো একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। তিনি এবং তার কন্যা সন্তান দুজনেই সুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই ছিলেন। ছোট্ট কন্যাশিশুকে দুধ পান করিয়ে বিছানায় শুয়ে রেখেছিলেন মা। সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে ঘুম পাড়িয়ে তিনি উঠান ঝাঁট দিচ্ছিলেন। মিনিট দশেক বাদে ঘরের মধ্যে গিয়ে দেখেন বিছানা থেকে সদ্যোজাত শিশু কন্যা গায়েব।
সদ্যোজাত শিশু কন্যার মা শিশুটির খুঁজ শুরু করে। আশেপাশের বাসিন্দা সহ সমস্ত স্থানে খোঁজ করার পরও শিশুটির খোঁজ না মেলায় ভেঙে পড়েন তারা। কি করবেন কিছু ভেবে না পেয়ে তারপর শিশুটির পরিবার জলপাইগুড়ি জেলার কোতালিয়া থানার দ্বারস্থ হন। সদ্যোজাত শিশু কন্যার নিখোঁজ হিসেবে ডায়েরি করেন তারা।
কোতালিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল উপস্থিত হন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ছোট্ট কন্যা শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই তাদের বাড়িতে দুজন মহিলা তান্ত্রিক এসেছিল। ওই ফ্যামিলির তরফ থেকে তাদেরকে অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। দীর্ঘক্ষন ধরে জমিয়ে কথাবার্তাও বলেন তারা। এরপর গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, সদ্যোজাত শিশু কন্যা নিখোঁজ হওয়ার পিছনে ওই দুই মহিলা তান্ত্রিকের হাত থাকতে পারে। গ্রামবাসীরা আরও জানিয়েছে, বাচ্চাটির মা পূর্ণিমা রায় ও তার শাশুড়ি মা দুজনেই বাইরে ছিলেন। তাদের চোখ এড়িয়ে কিভাবে বাচ্চাটিকে নিয়ে গেল ওই দুজন মহিলা তান্ত্রিক এটা ভাবনীয় বিষয়।
এবার জলপাইগুড়ির রানী কামাত গ্রামে ছেলেধরার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, ছোট্ট কন্যা শিশু নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই গ্রামবাসীরা চিন্তিত। যাদের বাড়িতে ছোট্ট বাচ্চা শিশু আছে তারা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে পড়েছেন বলে জানা গেছে।