mamata banerjee, TMC, করোনা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, টিএমসি
ছবিঃ ফেসবুক

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ভোট আবহের মধ্য দিয়েই রাজ্যে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। করোনা সংক্রমনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে নির্বাচনে ভোট প্রচারে বড় বড় জনসভা প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সবার আগে বামফ্রন্ট। সে বিষয়টিকে স্বীকার করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বামফ্রন্টের এমন সিদ্ধান্তের উপর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ওরা পাচ্ছে না, তাই খাচ্ছে না। ওদের সভাতে এমনিতেই লোক হচ্ছে না।” বামেদের উদ্দেশ্যে এমনই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে বর্তমানে তিনি কোভিড এর কথা মাথায় রেখে নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন। কলকাতায় আর কোনো নির্বাচনী প্রচারের বড় সভা বা মিছিল নয়। এই অবস্থাতে নির্বাচনী কর্মসূচিতে কাটছাঁট করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ।

বঙ্গে এখনো তিন দফার ভোটগ্রহণ পর্ব বাকি। তার মধ্যে রয়েছে দুই দফার ভোট গ্রহণ কলকাতাতেই। কলকাতার দক্ষিন বিধানসভা কেন্দ্রে ২৬ শে এপ্রিল সপ্তম দফার ভোট গ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং কলকাতার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে ২৯ শে এপ্রিল অষ্টম দফার ভোট গ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

এরইমধ্যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর দাবি নির্বাচনী ভোটকে কেন্দ্র করে বাইরের লোক রাজ্যে প্রবেশ করছে আর সেই কারণেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমন এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে সেজন্যই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে স্থগিত করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, “রাজ্যে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই দিক বিচার করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় কোন বড় রাজনৈতিক মিছিল করবেন না বলে জানিয়েছেন। শুধুমাত্র ২৬ শে এপ্রিল প্রচারের শেষ দিনে প্রতিকী সভা করবেন এবং রাজ্যের যে সমস্ত জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সভা অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো ৩০ মিনিটের বেশী দীর্ঘায়িত হবে না।”

তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, “কলকাতায় তিনি আর কোনো বড় জনসভা বা রোড শো করবেন না। শুধু একটিমাত্র কলকাতার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে ব্রিটেনের স্ট্রিটের সভা করবেন এবং বিভিন্ন জেলাগুলিতেও নিজের বক্তৃতায় তিনি ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন বক্তৃতার সময়সীমা কম করার ফলে ওই স্থানে মানুষের জমায়েত বা ভিড় বেশিক্ষণ থাকবে না।”