indian history, amit shah, correcting distorted indian history, ভারতবর্ষ, ভারতীয় ইতিহাস, অমিত শাহ, বিকৃত ইতিহাসের পুনর্লিখন
বিকৃত ইতিহাসকে শুধরে সঠিক তথ্য লেখা থেকে কেউ আটকাতে পারবে না, মন্তব্য অমিত শাহের | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইতিহাস যদি বিকৃত করে লেখা থাকে তাহলে তা শুধরে নিয়ে সঠিক ভাবে লেখা থেকে কেউ আটকাতে পারবে না, এমনটাই মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তিনি ইতিহাসবিদদের কাছে আবেদন করেছেন যে, ভারতের ইতিহাস আবার নতুন করে লেখা হোক। অমিত শাহ অসমের মহাপুরুষ লচিত বড়ফুকনের ৪০০ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি এই মতামত প্রকাশ করেন।

লচিত বড়ফুকনকে নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান যে, যদি লচিত বড়ফুকন না থাকতেন, তবে বর্তমান ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ কিছুতেই ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে পারত না। অতএব বর্তমান ভারত গঠনে লচিত বড়ফুকনের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুধু উত্তর-পূর্ব ভারতই নয়, তার সঠিক সময়ে নেওয়া কিছু সঠিক সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশিয়াকেও রক্ষা করেছে। এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছিল নয়া দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ১৫০ সাল থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন অংশে ৩০ টিরও বেশি সাম্রাজ্য এবং দেশের স্বাধীনতা লড়াইয়ে শহীদ হয়েছেন এমন ৩০০ এর বেশি বীর সংগ্রামী মহাত্মাদের সংগ্রামের কাহিনী নিয়ে নতুন করে ইতিহাস রচিত হোক। যাতে ভারতের ভবিষ্যৎ অর্থাৎ শিশু এবং যুব-সমাজ আত্মত্যাগী শহীদদের কথা জানতে পারে। তারা যেন ইতিহাস পড়ে অনুভব করতে পারে ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার জন্য তাদের সাহস এবং দৃঢ় মানসিকতাকে।

ভারতের ইতিহাস বিকৃতির সম্পর্কে তিনি বলেন, এদেশের ইতিহাসের ইতিবাচক দিকগুলি পড়ুয়া তথা জনসমক্ষে তুলে ধরতে হবে। তাহলেই ভুল ইতিহাস নিজে থেকেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আর এর জন্য প্রয়োজন অসত্য ইতিহাসকে বদলানোর। রচনা করতে হবে সঠিক ইতিহাস। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

অমিত শাহ আরও বলেন, প্রত্যেকের উচিত নিজের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মবলিদানের কথা মনে রাখা। কোন জাতি তার ইতিহাস নিয়ে গর্ববোধ না করলে, কখনোই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। দেশ স্বাধীন করার জন্য যে সমস্ত মানুষ কঠিন পরিশ্রম করেছেন এবং আত্মবলিদান দিয়েছেন, তাদের ইতিহাস দেশের প্রতিটি কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিতে হবে। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেইসব মানুষদের বীরত্বের কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারে।