dilip ghosh, bjp, west bengal politiocs, দিলিপ ঘোষ
"কেউ তো আর গরু-ছাগল নয় যে জোর করে আটকে রাখব," দলত্যাগী দের উদ্দেশ্যে তোপ দিলিপের | ছবিঃ ফেসবুক

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়তে না পারলেও বাংলার রাজনীতিতে নিজেদের শিকড় শক্ত করে নিয়েছে গেরুয়া শিবির।  নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যে প্রথমবার প্রধান বিরোধী দল হিসেবে, নাম উঠে এসেছে গেরুয়া শিবিরের। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপির অন্দরে ভাঙ্গন ধরেছে।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারা দাবী করেছিলেন ২০০ এর বেশি আসন পেয়ে বাংলায় নতুন সরকার গড়বে তারা। তবে ফলাফল ঘোষণার সময় গেরুয়া শিবিরের পক্ষে এসে দাড়ায় ৭৭ টি আসন। তবে তার কয়েক মাসের মধ্যেই সেই আসনের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭১ টিতে। দলবদল যেন এখন একটি ফ্যাশন হয়ে উঠেছে রাজনীতিতে। রাজ্য ৭৭ টি আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করার পর ৭৫ টি প্রার্থী বিধায়ক পদে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। এই ৭৫ জনের মধ্যে ৪ বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন ইতিমধ্যেই।

dilip ghosh, bjp, west bengal politiocs, দিলিপ ঘোষ
“কেউ তো আর গরু-ছাগল নয় যে জোর করে আটকে রাখব,” দলত্যাগী দের উদ্দেশ্যে তোপ দিলিপের | ছবিঃ ফেসবুক

দুইজন বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেও বিধায়ক পদ গ্রহণ করেননি। পাশাপাশি বিধায়ক পদ গ্রহণ করার পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের মুকুল রায়, বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস, কালীগঞ্জের সৌমেন রায়।

দলবদলু নেতাদের উদ্দেশ্যে এবার মুখ খুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, “দলবদল এখন যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। কেউ তো আর গরু-ছাগল নয় যে জোর করে আটকে রাখব।” তার কথায়, “যাদের দল ছাড়ার তারা ঠিক দল ছাড়বেন। মুকুল রায়ের মত নেতা যদি দল ছাড়তে পারেন, তাহলে অন্যরাও পারেন।”

এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, রাজনীতিতে পাল্লা যেদিকেই ভারী সেদিকেই লোক যায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পাল্লা যেভাবে ছিলো তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এদিন দিলীপ ঘোষ এর কথা মতোই তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে।