পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ৫ ই সেপ্টেম্বর দিনটি ভারতে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ রবিবার শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন, “বাংলার শিক্ষকরা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায়ও অনেক ভালো আছেন।”
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “একটি চাকরির পরীক্ষার সকল প্রার্থীকে তো আর চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়, তাই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সমালোচনার কোন স্থান নেই।” জানিয়ে রাখি ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আন্দোলনে নেমেছেন। একাধিক দাবি জানিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছেন। শিক্ষকদের একাধিক সমস্যা নিয়ে তারা মাঝেমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
আবার কখনও কখনও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়েও আন্দোলনে জোর দিচ্ছেন রাজ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে আন্দোলন করেও কোনো রকম সুরাহা মিলছেনা রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সেই কারণেই শিক্ষকরা “নিখোঁজ শিক্ষামন্ত্রী” বলে পোস্টার ছাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এইসব ইস্যুকে কেন্দ্র করে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
তিনি এদিন বলেন, “দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায়ও আমাদের রাজ্য শিক্ষকদের অবস্থা অনেকটাই সুদৃঢ় এবং সুগঠিত। প্রতিবেশী রাজ্যগুলির দিকে একটু দেখুন। ত্রিপুরায় ১০ হাজার ৩২৩ জন স্থায়ী শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন।” এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “সেই হিসেবে দেখতে গেলে আমাদের রাজ্যে প্রচুর সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। পার্শ্ব শিক্ষক এবং চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের ৬০ বছর বয়স অবধি চাকরীর নিশ্চয়তা থাকে। প্রয়োজনে তাঁদের ন্যায্য দাবি থাকলে, তা বিবেচনা করে দেখা হবে।”
তবে রাজ্যের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড় অস্থায়ী শিক্ষক এবং পার্শ্বশিক্ষক ইস্যুকে কেন্দ্র করেই একটি টুইট করেছিলেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এর সেই টুইট-কে কেন্দ্র করে পাল্টা মন্তব্য করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি এদিন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্যে শিক্ষকদের অবস্থান খুবই সংকটজনক। রাজ্যপাল পারলে একটু ত্রিপুরা গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে দেখুন। প্রচুর শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছেন। আবার অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি চলে গিয়েছে। সেই তুলনায় আমাদের রাজ্যের অবস্থা অনেক ভালো।”