amit shah, bjp
ছবি- সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা:- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিতীয়বার রাজ্য ভ্রমণে এলেন রবিবার বোলপুরে। 2021 সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলায় দ্বিতীয়বার পা রাখলেন অমিত শাহ। আজ সকালে তিনি বোলপুর শান্তিনিকেতনের সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বোলপুর থেকে বিশ্বভারতী বিদ্যালয়ে পৌঁছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানালেন। ঘুরে দেখেন বিশ্বভারতী।

বিশ্বভারতীতে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে তিনি লোকসংগীত থেকে রবীন্দ্র সংগীত সবই শোনেন। গানের তালে তালে তাল মেলাতে লাগেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের বাহবা এবং উৎসাহ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

এরপর তিনি মধ্যাহ্নভোজন সারতে রতন পল্লীতে বাসুদেব দাস বাউলের বাড়িতে যান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যাহ্নভোজনের আগে বাউলের বাড়ির শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে নেন। এরপর বাউল শিল্পী একতারা বাজিয়ে লোকসংগীত ‘তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো / ছেড়ে দেবো না’ গান করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে বরণ করে নেন। মাটির বারান্দায় বসে বেশ গানটি উপভোগ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ কে মাটির বারান্দায় আসন পেতে দেওয়া হয় মধ্যাহ্নভোজন এর জন্য। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্যসভার সংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।

বাসুদেব বাউল জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর জন্য বাঙালি খাবার হয়েছে সবই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বাংলায় গেলে বাংলা খাবারের স্বাদ নিতে চাই। সেই হিসাবে রান্নার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। বাসুদেব বাউল নিজেই রান্নার কাজে লেগে পড়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার বাড়িতে আসবে সেই খুশিতে। তিনি নিজের হাতে পরিবেশন করে খাওয়াতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে। রান্নার আয়োজন হয়েছে অনেক কিছু অনেক রকমের ভাজা এবং সবজি নলেন গুড়ের রসগোল্লা। স্পেশাল ভাবে তৈরি করা হয়েছে আলুর পোস্ত। কারণ অমিত শাহ চেয়েছিলেন, বিশেষভাবে তৈরি বীরভূমে আলু পোস্তর স্বাদ নিতে । ঠিক সেই মতই সবকিছু করা হয়েছে কড়া নজরদারিতে।

গান বাজনার শেষে, মাটিতে আসন পেতে করা হয় খাওয়ার আয়োজন। কাঠের টুল এর উপর কলা পাতায় সাজানো, ভাত, মুগ ডাল, আলু-পটল, বেগুন ভাজা, আলু পোস্ত, পালংশাক, টকদই, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, পায়েস,। পুরোটাই বাঙালি খাবার আয়োজন করা হয়েছিল। খাটি বাংলার এই সমস্ত পদের ভজন করে দারুণ তৃপ্তি উপভোগ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারি সাথে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে অতিথিসেবা করে পেরে আনন্দিত বাউল পরিবার।