পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ একুশের বিধানসভার ভোট গ্রহণ চলছে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। আগামীকাল অর্থাৎ ৬ এপ্রিল রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ হবে।
তৃণমূল দলের শিকড় শক্তপোক্ত বঙ্গে। বঙ্গে তবে এবার পাখির চোখ গেরুয়া শিবিরের। রাজ্যে প্রতিনিয়ত নিয়ম করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করেই চলছে জোরদার সভা, মিছিল এবং ভোট প্রচার। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও কোনও কিছুতে কম যায় না।
আজ তৃণমূলের হয়ে বালিতে একটি জনসভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তিনি নানাভাবে গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে আক্রমণও শানালেন। বালির জনসভা থেকে তিনি জানান, “বিজেপি দাবি করে তারা বিশ্বের বৃহৎ রাজনৈতিক দল। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম তাদের দল বড়। মা মাটি মানুষের দল ছোট দল। তাহলে গত ৭ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার যা যা করেছে, যা যা উন্নয়ন করেছে, তা তুলে ধরছেনা কেন ? তথ্য পরিসংখ্যান সামনে রেখে লড়াই হোক। এক শূন্য গোলে যদি হারিয়ে দিতে না পারি আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, বিজেপি তর্কের খাতিরে বড় দল। কাজের খাতিরে নয়। এদিন তিনি প্রশ্ন করেন রাজ্যে সাত বছর ধরে কী কী উন্নয়ন করেছে গেরুয়া শিবির। তার তথ্য সামনে আনতে বলেছেন তিনি। তিনি এদিনের সভামঞ্চ থেকে জানিয়েছেন, “তৃণমূল ২৫০ টির বেশি আসন পাচ্ছে। এবং ২৫০ টির বেশি আসন পেয়ে বাংলায় তৃণমূল সরকার গড়বে।”
আরও পড়ুনঃ “২ রা মে-র পর কনডমের দোকান খুলবে সায়নী” – অগ্নিমিত্রা পাল
তিনি এদিন বালির সভামঞ্চ থেকে কটাক্ষ করে বলেন, “যাদেরকে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও বাংলাতে দেখা যেত না। আজ তারা দিল্লি ও গুজরাট থেকে রোজ পশ্চিমবঙ্গে ডেলি প্যাসেঞ্জার হয়ে গিয়েছেন। করোনার সময় করোনার ভয়ে রাস্তায় নামেনি। এখন বাংলা দখল করার জন্য যে করেই হোক বারবার বঙ্গে উপস্থিত হচ্ছেন। এদিনের সভা মঞ্চ থেকে নতুন স্লোগান তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়- “উড়ে যাবে ভাওতা, থাকবে সততা, বলছে বাংলার জনতা, নবান্নে আবার মমতা।” এছাড়াও আরেকটি স্লোগান তোলেন তিনি, “২ রা মে বল হরি হরি বল বহিরাগতদের ঘাটে তোল।”