Ek Desh Ek Urdi, narendra modi, amit shah, police uniform, one nation one uniform,
"এক দেশ, এক উর্দি," দেশের সমস্ত পুলিশের ইউনিফর্ম হতে পারে এক, প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী মোদীর"এক দেশ, এক উর্দি," দেশের সমস্ত পুলিশের ইউনিফর্ম হতে পারে এক, প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী মোদীর | চিত্র - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ এক দেশ, এক রেশনের পর, এবার এক দেশ, এক পুলিশ উর্দি হতে পারে এমনটাই জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশের উর্দি খাকি হলেও, রঙ বিভিন্ন হয়ে থাকে। যার ফলে উর্দির রঙ দেখে খুব সহজেই বোঝা যায় কোন রাজ্যের পুলিশ। তবে দেশের সমস্ত রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, এক দেশ, এক পুলিশ ইউনিফর্মের পক্ষে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশের সমস্ত রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদেরকে নিয়ে হরিয়ানার সুরাজকুন্ডে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছেন। কেন্দ্র সরকার তরফ থেকে ওই বৈঠকের নাম দেওয়া হয়েছে “চিন্তন শিবির।” ওই চিন্তন শিবিরে উপস্থিত সকল রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আজ ভার্চুয়াল বৈঠক করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, “এক দেশ, এক রেশন কার্ডের মতোই সারা দেশের পুলিশের জন্য একই উর্দিও (Police Uniform) চালু করতে পারি। আমি মানছি প্রতিটি রাজ্যের আলাদা চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যগুলি চিন্তাভাবনা করতেই পারে। ভবিষ্যতে এই ভাবনা বাস্তবায়িত হতেই পারে।”

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি এখন একটি রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কারণ অপরাধ আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে।’’

জানিয়ে রাখি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উদ্যোগে আয়োজিত চিন্তন শিবিরের প্রথম দিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতোই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলাতেও একই সুর শোনা গিয়েছিল। প্রথম দিনের বৈঠকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, রাজ্যের সীমান্তগুলিতে যে পরিমাণে অপরাধীদের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে তাতে করে গোটা দেশজুড়ে একই আইন তৈরি করা উচিত। এছাড়াও তিনি দেশের সকল অপরাধীদের তথ্য এক জায়গায় নথিভুক্ত করার উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আরও বলেছিলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি রাজ্যে NIA এর অফিস খোলা হবে। মোদী, শাহের এমন বক্তবে সরব বিরোধীরা।

ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা গুলি যেভাবে রাজ্যে ঘটে যাওয়া অপরাধগুলি তদন্ত শুরু করেছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রাজ্যের অধিকারের উপর কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ বলে বিরোধীরা সরব হয়েছে। তারই মধ্য দিয়ে এবার কেন্দ্রের দুই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে এমন কথা শুনে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধীরা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এমন বক্তব্যে পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ। তিনি একদিন বলেন, “মোদি যা বলেছেন, সেই বিষয়টি দেখছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। ঠিক সময় মতো এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। তবে সাংবিধানিক ভাবনাকে ধ্বংস করতে চাইছে বিজেপি। একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির ভাবনাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” যদিও প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন, দেশের অখন্ডতা বজায় রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতেই পারে। তবে এই সিদ্ধান্ত কারও উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে না।