পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ কখনো বা পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য পথে নেমে আন্দোলন করছেন। আবার কখনো জনসাধারনের জন্য পথে নেমে পড়েছেন। গত কয়েকদিন আগেই পেগাসাস কাণ্ডের প্রতিবাদে পক্ষীরাজ নিয়ে পথে নেমেছিলেন। তবে এবার কিসের প্রতিবাদ ? ছুটির দিনে তিনি হয়ে গেলেন চা বিক্রেতা।
এতকিছু করে চলেছেন যিনি, তিনি হলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি আজ ভবানীপুরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে চা বিক্রি করলেন। তবে একটি চায়ের কাপের দাম মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা। শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক হলেও এটাই সত্যি।
কোনদিনই ছুটি নেই মদন মিত্রের, সেটা আজ বুঝিয়ে দিলেন খোদ মদন মিত্র। তবে তার এই ১৫ লক্ষ টাকার চা এর পেছনে কি রহস্য লুকিয়ে আছে? জানিয়ে রাখি, চা-বিক্রেতা সেজেও তিনি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ মদন মিত্র-কে চা বিক্রেতার রূপে দেখা গিয়েছে ভবনিপুর ময়দানে এবং তিনি এক একটি চায়ের কাপের দাম ১৫ লক্ষ টাকা বলে দাবি করেন।
মূলত আজ তিনি পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে ভবানীপুর এলাকায় প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে চা বিক্রেতা হিসেবে খোঁচা মারলেন সোজা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সঙ্গে তার অনুগামীরা ছিলেন নরেন্দ্র মোদীর মুখোশ পরে। এছাড়াও আজ তিনি স্লোগান দিয়ে দাবি করেন, “এমন যা আমেরিকার রাষ্ট্রপতিও খাওয়াতে পারেন নি। যা এখন মোদীজী আমাদের খাওয়াচ্ছেন।”
মদন মিত্রের এই ১৫ লক্ষ টাকার চায়ের পেছনে লুকিয়ে আছে মূল রহস্য। সেটি হল, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিদেশে থাকা কালো টাকা ফিরিয়ে এনে প্রত্যেক দেশবাসীর ব্যাংক একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী তা বাস্তবে করে দেখাতে পারেননি। এছাড়াও দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেকে চা বিক্রেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে জনসমাজে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছিলেন। তবে আজ এই চা বিক্রেতা ও পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ভবানীপুরের ময়দানে ১৫ লক্ষ টাকার চা বেচলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।