Religious conversion, pakistan, ধর্মান্তরিতকরণ, পাকিস্তান
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ধস কমাতে পারেনি সংখ্যালঘুদের জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিতকরণের হার

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ বর্তমানে পাকিস্তান অর্থনীতি থেকে শুরু সব ধরনের সমস্যায় জর্জরিত। সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান ঘটনা দেশটিকে যেন ক্রমাগত পিছনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। তবে এটি পাকিস্তানের মুসলিমদের ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি।

সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, পাকিস্তানে দ্রুত হারে ধর্মান্তরিত হচ্ছে সংখ্যালঘুরা। জোরপূর্বক ধর্মান্তরিতকরণ তথা ধর্মীয় সংখ্যালঘু অল্পবয়সী মেয়েদের বিয়ের হারও বেড়েছে। জাতিসংঘ পাকিস্তানকে শান্তি রোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ধর্মীয় সংখ্যালঘু-হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টানদের প্রায় ১০০০ মেয়েকে ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করা হয়েছে এবং কম বয়সে আইনবিরুদ্ধ বিবাহও দেওয়া হয়েছে।

মেয়ে পাচারকারীরা ইন্টারনেটে বেশি সক্রিয় হয়েছে করোনাকালীন সময় থেকে। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো বেশ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ধর্মান্তরিত মেয়েরা বেশিরভাগই দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২০২০ সালে পাকিস্তানকে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের জন্য বিশেষ উদ্বেগের দেশ হিসাবে ঘোষণা করেছিল। এতে বলা হয়েছিল, সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান ও শিখ সম্প্রদায়ের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করার জন্য অপহরণ করা হয়।

এমনকি তাদের জোরপূর্বক বিয়ে করে ধর্ষণ করা হয়। হিন্দুরা জনসংখ্যার ২ শতাংশ, যেখানে খ্রিস্টানরা পাকিস্তানের আনুমানিক ২২০ মিলিয়ন জনসংখ্যার ১.৫ শতাংশেরও কম। হিন্দু মেয়েদের অভিভাবকরা বলছেন, নাবালিকাদের অপহরণ করা হয় এবং অপহরণকারীদের রক্ষার জন্য ধর্মান্তর ও বিয়েকে আইনি আবরণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

মেয়েদের ক্ষতির ভয় দেখিয়ে আদালতে মিথ্যা জবানবন্দি দিচ্ছে। মেয়েদের জন্য হুমকি এত বেশি যে তারা তাদের বয়স নির্ধারণের জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করতে অস্বীকার করে। পাকিস্তান পুলিশ বলছে, কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো যাবে না। ২০২০ সালের অক্টোবরে, একটি সংসদীয় কমিটি একটি প্রস্তাবিত বিল বাতিল করে দেয় যা ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের প্রস্তাব করে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকে অপরাধী করে তোলে।

সুত্রের খবর, মোদি সরকার এই ধরনের ঘটনা মাথায় রেখে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালুর কথা ভেবেছেন। CAA আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে নির্যাতিত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য একটি পথ প্রদানের লক্ষ্য। এটি এই দেশগুলিতে বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন এবং পার্সি সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য। সিএএ-র প্রতি অভিযোগে বলা হয়েছিল যে, এই তালিকা থেকে মুসলিমদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে এর পাল্টা যুক্তিতে রাজনৈতিক মহল থেকে বলা হয়েছে, যেহেতু পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। তাই সেখানে মুসলমানদের ধর্মীয় নিপীড়নের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা কম।