অজানা জ্বর, শিশুদের অজানা জ্বর, ojana jor
অজানা জ্বরের কারণে বাড়ছে আতঙ্ক, উত্তরবঙ্গে আক্রান্ত প্রায় ২০০ শিশু, মৃত ২

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- উত্তরবঙ্গের অজানা এক জ্বরে ক্রমাগত আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ২০০ জন শিশু এবং শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে রয়েছে ৭০ জন শিশু। প্রায় সকলের অসুস্থতার উপসর্গ একই রকম। কাজেই সকলের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক।

অপরদিকে কলকাতাতেও শোনা যাচ্ছে এই অজানা জ্বরের হানা দেওয়ার খবর। কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ৫ থেকে ৬ জন শিশু। তাদের মধ্যে ৪ জন শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, শিশুদের আইসিইউতে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল।

জানা গিয়েছে, এখনো পর্যন্ত জলপাইগুড়িতে ২০০ জন শিশু এই অজানা জ্বরের কারণে হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসার মাধ্যমে অবস্থা উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করছে ডাক্তাররা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত জ্বরের কারণ খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি।

ইতিমধ্যেই ওইসব শিশুদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতার ট্রপিকাল মেডিসিন এবং পুনে ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফল এখনো হাতে আসেনি। ফল আসতে সময় লাগবে। এই পরীক্ষার পরেই বোঝা যাবে জ্বরের আসল কারণ।

এই জ্বরের প্রভাবে মারা গিয়েছে ২ জন শিশু। গত সোমবার নাগাদ রাতে জলপাইগুড়ি জেলায় সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬ বছরের একটি শিশু। তার নাম কাবেরী। প্রচন্ড জ্বরের কারণে সে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ-এর বাসিন্দা কাবেরীকে চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণ করে তার বাড়ির লোককে জানিয়ে দেয় বাচ্চাটি সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার ভোরবেলা নাগাদ চিকিৎসকরা কাবেরীকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ ৭ মাস বয়সের একটি শিশু মারা যায়। অনেকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল ময়নাগুড়ি অঞ্চলের শিশুটি। এই দিন জ্বর না কমায় বাড়ির লোকেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে হাসপাতালে আসার আগেই পথে তার মৃত্যু হয় বলে জানা যায় গিয়েছে। এই অবস্থায় ওই দুই শিশুর পরিবারের লোকজন ভীষণভাবে ভেঙে পড়ে এবং হাসপাতালে অন্যান্য শিশুদের অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

শিলিগুড়ি এবং কোচবিহারে এই জ্বরের প্রকোপ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি অনেক শিশু। জ্বর কমানোর জন্য চিকিৎসকরা নানাবিধ ঔষধ পত্রের প্রয়োগ করছেন। কিন্তু জ্বরের কারণ জানতে না পারায় উদ্বেগ এবং আতঙ্ক বাড়ছে মানুষের মধ্যে।