পশ্চিমবঙ্গ স্পোর্টস ডেস্কঃ- একই দলের হয়ে একই জার্সি পরেন এই তিন সুপারস্টার। এই তিন তারকার আক্রমণে ঘুম উড়ে যায় অনেক বিপক্ষ দলের। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অফ সিক্সটিন থেকে পিএসজির ছিটকে যাওয়ার পর ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে নাকি কথাই বলেন না দলের সতীর্থ লিওনেল মেসি এবং নেইমারের সঙ্গে। আরো দুই সতীর্থ খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেন না এই ফরাসি স্ট্রাইকার। দক্ষিণ আমেরিকার এক সংবাদমাধ্যমের জানা গিয়েছে পিএসজির লকার রুমের ফুটবলারদের এই পারস্পরিক সম্পর্কের কথা।
এই দক্ষিণ আমেরিকার সংবাদপত্রের খবরে জানা গিয়েছে যে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অফ সিক্সটিন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দলের চার ফুটবলারের সঙ্গে কথা নেই কিলিয়ান এমবাপের। তাদের মধ্যে মেসি এবং নেইমারকে ছাড়া রয়েছেন দলের সতীর্থ প্রেসনেল কিমপেমবার এবং ইটালির মার্কো ভেরাত্তি। জাতীয় দলের সতীর্থ কিমপেমবারের সঙ্গে আগে থেকেই বন্ধুত্ব নেই এমবাপের । তারা যে শত্রু, তেমন টাও নয়। দুজনের মধ্যেই সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই ভালো নয়। তাই একে অপরের সঙ্গে কোন রকম কথা বলেন না তারা।
তবে সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় এটাই নেইমার এবং মেসির সঙ্গে এমবাপের কথা না বলার। পিএসজির আক্রমণ ভাগের কান্ডারী এই তিন জন। কিন্তু তারাই নাকি কথা বলেন না পরস্পরের সঙ্গে। দক্ষিণ আমেরিকার এই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বার্সেলোনার এই দুই প্রাক্তন তারকা একেবারেই পছন্দ করেন না এমবাপেকে। পিএসজিতে তাদের মত তারকা থাকতে, এমবাপে যেভাবে তারকা সম্মান পায় সেই কারণেই পছন্দ নয় নেইমারদের। যদিও মেসি এবং এমবাপে কখনোই প্রকাশ্যে জানাননি যে তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন না। বরং কাতার বিশ্বকাপে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর্জেন্টাইন অধিনায়ক একটি সংবাদ সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এমবাপের সঙ্গে তার কথা হয়েছে ।
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি জানিয়েছিলেন, “ফাইনাল নিয়ে এমবাপের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আর্জেন্টিনা বাসীরা কিভাবে উৎসব পালন করেছে, সেই বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে। আমি যখন ছুটিতে ছিলাম, আমি কিভাবে সময় কাটালাম, কিভাবে উৎসব পালন করলাম সেই সব আলোচনা হয়েছে এমবাপের সঙ্গে। আমি বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের কষ্টটা বুঝি। হেরে যাওয়ার বিষয় নিয়ে আমি কোনরকম কথা বলতে চাই না। আসল কথা হলো এমবাপের সঙ্গে আমার কোন রকমের বিবাদ নেই। বরং আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো।”
ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপেও বলেছিলেন, বিশ্বকাপ ফাইনালের পর তার সঙ্গে মেসির কথা হয়েছে। এমবাপে বলেছিলেন, “বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আমার সঙ্গে মেসির কথা হয়েছে। আমি তাকে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। জীবনের একটা সেরা মুহূর্তের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল সে। তবে আমিও ছিলাম, কিন্তু আমাকে হেরে যেতে হয়। ভবিষ্যতে আমাকে আরো ভালো ফুটবলার হয়ে উঠতে হবে।