পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রেসিডেন্সি জেলে আটক রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বহুদিন পর গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালতের নির্দেশে মেনেই আলিপুর জর্জ হাইকোর্টে সশরীরে হাজিরা দেন। তার আইনজীবী আদালতে বারবার জামিনের আর্জি জানালেও সেই আরজি প্রত্যাখ্যান করছে আদালত। গতকাল হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তেমন কিছু না বললেও হাজিরা দিয়ে আদালত কক্ষ ছেড়ে বাইরে এসে দলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘দলের সঙ্গে আছি।”
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এমন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “পার্থ বলছে দলের সঙ্গেই আছি। দল পার্থর সঙ্গে নেই।” জানিয়ে রাখি, গতকাল প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তোলে সিবিআই। সিবিআই এর দাবি, “পরিকল্পনা করে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি করা হয়েছে।” এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী মলয় দাস বলেন, ‘‘আমরা তাঁদেরই গ্রেফতার করেছি, যাঁদের দুর্নীতিতে যোগ পাওয়া গিয়েছে। সৌমিত্র সরকারের নাম এফআইআর-এ থাকা সত্বেও, আমরা গ্রেফতার করিনি। কারণ এখনও নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’’
এরপর আদালতের বিচারক বলেন, “এই তদন্তের চার্জশিট জমা পড়েছে, তদন্তের আর কোন দরকার নেই।” বিচারকের এমন মন্তব্যের পর সিবিআইয়ের আইনজীবী সাওয়াল করে বলেন, “তদন্ত এখনো শেষ হয়নি, এখনো তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। বেআইনিভাবে নিয়োগ হচ্ছে।” সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও বলেন, “অন্তত ছয় মাস তো লাগবেই, প্রতিদিন তদন্তের চিত্র যে ভাবে বদলে যাচ্ছে। লাল মার্ক করে যেটা জমা দিয়েছে, সেটা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেবে।”
সিবিআইয়ের আইনজীবীর এমন মন্তব্যের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জি খারিজ করে আদালত। যার পর জেল হেফাজতে থাকার সময়সীমা আরও বেড়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তবে তিনি আদালত থেকে বেরোতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের উদ্দেশ্যে বলেন, “দলের সঙ্গে আছি৷ আপনারা সবাই ভাল থাকুন৷” তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, “পার্থ বলছে দলের সঙ্গেই আছি। কিন্তু দল পার্থর সঙ্গে নেই। দিদি ওঁর সঙ্গে নেই। কারণ, উনি টাকাপয়সার ভাগ দেননি। এখন দলের সঙ্গে আছি বলে লাভ নেই। দল ওকে ছেঁটে ফেলেছে। অনুব্রত বা মানিক দিয়ে-থুয়ে খেয়েছে। তাই দল ওদের সঙ্গে আছে। ওদের বোঝা বইছে। পার্থবাবু টাকা-পয়সার ভাগ দেয়নি, তাই ওকে ছেঁটে ফেলেছে।”