howrah hospital, হাওড়া হাসপাতাল,
চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু, বেধড়ক মারধর, আক্রান্ত হাওড়া হাসপাতালের ২ চিকিৎসক | ছবি - পশ্চিমবঙ্গ.কম

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ধুন্ধুমার পরিস্থিতি! এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাওড়া হাসপাতালে এবং এই ঘটনায় চিকিৎসকদেরকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসকের গাফিলতির কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি রোগীর পরিবারের। তবে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।

জানা গিয়েছে, হাওড়া জেলার পটুয়াপাড়ার বাসিন্দা কার্তিক দে, বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। যখন তার অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে তখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা তাকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভাল না থাকার কারণে শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

কার্তিক বাবুর মৃত্যুর ঘটনা শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা। কার্তিক বাবুর ছেলে রোহিত দাবি জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও তাদের পরিবারের দাবি, কার্তিক বাবুর চিকিৎসা করার জন্য একাধিকবার চিকিৎসকদেরকে ডাকা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও কোনো চিকিৎসকের দেখা মেলেনি।

এরপরেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কার্তিক বাবুর ছেলে রোহিত সহ তার পরিবারের সদস্যরা। রাগের মাথায় দুই চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করে রোহিত। যার কারণে মাথা ফেটে যায় একজন চিকিৎসকের এবং অপর চিকিৎসকের হাত ভেঙে যায়। পরিস্থিতি যখন তীব্র আকার ধারণ করে সেইসময় খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। এরপর অভিযুক্ত রোহিতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অভিযুক্ত রোহিত পুলিশকে জানিয়েছে, বাবার অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকদেরকে বারবার ডাকা হলেও কেউ আসেনি। চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণেই তার বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে রোহিত। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “একটা অশান্তি হয়েছে। বিষয়টা তদন্ত সাপেক্ষ।”