পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ২৪ শে ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ও ইউক্রেনের উপর হামলা চালানোর পর এই প্রথম বার দুই শক্তিধর দেশের প্রধান মুখোমুখি হলেন। প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। ইউক্রেনের পক্ষে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ইউরোপের মত অন্যান্য দেশ গুলি। অন্যদিকে রাশিয়ার পক্ষ নিয়েছে চীন।
তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে ভারত নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে। কোনও দেশের পক্ষ নিয়ে নিজের মান হারাতে চায়না ভারত। যুদ্ধ প্রায় এক মাস হতে চলল। আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য অবশেষে জরুরী বৈঠকে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চিন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গতকাল, শুক্রবার দুই শক্তিধর দেশের প্রধান ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখোমুখি হন। গতকাল সকাল ৯ টা ০৩ মিনিটে চীনের প্রেসিডেন্টকে টেলিফোন করেন বাইডেন এবং তাদের কথোপকথন চলে ১০ টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা একে অপরের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা কথা বলেছেন।
হোয়াইট হাউসের সেক্রেটারি এই বৈঠকের বিষয়ে জানিয়েছেন। তার দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পুতিনের প্রতি বেজিংয়ের ‘সমর্থন’ এবং রাশিয়ার আক্রমণের ‘নিন্দা’ না করার নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে এই প্রশ্নের জবাবে চীনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, “দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব কারও স্বার্থে নয় এবং বিশ্ব শান্তির জন্য ওয়াশিংটনকে অবশ্যই যথাযথ দায়িত্ব নিতে হবে।” এছাড়াও চিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “শান্তি ও নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।”
এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চীন প্রেসিডেন্ট বলেন, “বিশ্ব শান্তির জন্য বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনৈতিক শক্তির সম্পর্ককে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।” এই দুই শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রনেতার ফোনালাপের পূর্বে সেক্রেটারি জানিয়েছিলেন, “রাশিয়ার আগ্রাসনকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে চিনকে তাদের পদক্ষেপের দায়ভার বহন করতে হবে এবং আমরা এর প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দ্বিধা করব না।” তবে এই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বোঝার চেষ্টা করেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে চীন-রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা ঠিক কতটা।