অরবিন্দ কেজরিওয়াল,
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- রাজনীতির সর্বনিম্ন অধ্যায় যেন এখন চলছে ভারতে। মানুষ মরছে, কিন্তু রাজনীতি বন্ধ হচ্ছে না। গতকাল দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে গোপন বৈঠকের লাইভ সম্প্রচার করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

দেশের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে গোপন বৈঠকের লাইভ সম্প্রচার করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। যা সংবিধানের একদম নীতিবিরুদ্ধ। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত দিল্লিতে “অক্সিজেনের কোন অভাব হবে না” বলা মুখ্যমন্ত্রী আজ এক নতুন ভাবমূর্তি সবার সামনে প্রকাশ করার চেষ্টা করলেন। যা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ‘একেবারে লোক দেখানো।’

গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এ বৈঠকে বসেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। সাধারণত এই উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক কোনভাবেই সামনে আসা উচিত নয়। এই বৈঠকের যখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কথা বলা শুরু করেন তখন সবাই তার বক্তৃতা শুনে তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছিলেন।

কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই জানা যায় যে তিনি ওই বৈঠকে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে একটি বেসরকারী নিউজ চ্যানেল মাধ্যমে জনসাধারণের সামনে লাইভ বক্তৃতা রাখছেন। এই ঘটনা সামনে আসতে না আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় বলতে শুরু করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল সম্পূর্ণ বক্তৃতায় রাজনীতি করার জন্য লাইভ টিভিতে সম্প্রচার করেছেন এবং মানুষের প্রতি তার সত্যিকারের কোনও সমবেদনা নেই।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সামনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল একাধিক ভুল তথ্য দিতে থাকেন। এই গোপন বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার এর খবর প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী পাওয়ার পর তিনি বলেন যে আজকে আমাদের এই সভার নিয়ম ভাঙা হয়েছে যা একেবারেই ঠিক নয়।

এর উত্তরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তার ভুলের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেও সাধারণ মানুষ তীব্র বিরোধিতা করছেন, এরকম নিচু মানসিকতার রাজনীতির।