tathagata roy, bjp, তথাগত রায়, বিজেপি,
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ “মল মূত্র ত্যাগ করলে মানুষ দুর্বল হয় না।” দলবদলু নেতাদের উদ্দেশ্যে সরব হলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। রীতিমত টুইটারকে হাতিয়ার করে নিয়েছেন তিনি। নির্বাচনের পর থেকে একের পর এক কোণঠাসা মন্তব্য করে গিয়েছেন টুইটার থেকেই।

একুশের নির্বাচনে বাংলাকে পাখির চোখ করেছিল গেরুয়া শিবির। নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির যেভাবে প্রচার চালিয়েছিল তাতে একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, বাংলায় গেরুয়া শিবিরের জয় নিশ্চিত। যার ফলে তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতারা তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান। একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপির বাড়তি অক্সিজেন যুগিয়েছিল তৃণমূলের এই নেতারাই।

তবে নির্বাচনের ফল প্রকাশ আসতে দেখা যায়। পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলা দখল করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপি শিবির দাবি করেছিল তারা ২০০-র বেশি আসন পেয়ে বাংলায় নতুন সরকার গড়বে। তবে গেরুয়া শিবির ৭৭ টি আসনেই আটকে পড়ে।

আরও পড়ুনঃ “কপালে সিঁদুর পরে হিন্দুদের বোকা বানিয়েছে নুসরত জাহান”, বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপের

বিজেপি শিবিরের এই ভরাডুবির ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে আগত নেতারা ফের এখন তৃণমূলেই ফিরতে চান। ইতিমধ্যেই সোনালী গুহ এবং দিব্যেন্দু বিশ্বাস লিখিত ভাবে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো অনেক নেতার মুখেই বেসুরো সুর শোনা যাচ্ছে। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই কটাক্ষ করে টুইট করলেন বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা তথাগত রায়।

এদিন তিনি টুইট করে লিখেছেন, “তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা যে সব নেতা আবার তৃণমূলে ফিরে গেছেন তাঁদের সম্বন্ধে আমি প্রয়াত সিপিএম নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের একটি মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করছি। ”মল মূত্র ত্যাগ করলে মানুষ দুর্বল হয় না, সবলই হয়”। ১৯৬৪ সালে যখন কম্যুনিস্ট পার্টি ভাঙে তখন সিপিআই নেতাদের সম্বন্ধে এই উক্তি।”

বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়ের এমন মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ জানিয়েছে, যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিল, সেই সমস্ত নেতারা বিজেপি ক্ষমতায় না আসায় বেসুরো হয়ে পড়েছে। যার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে নানা রকম কথাবার্তা বলে চলেছেন তারা। তাই অবশেষে ক্ষুব্দ হয়ে দলবদলু নেতাদের উদ্দেশ্যে এমন টুইট তথাগত রায়ের বলেই মন্তব্য নেটিজেনদের।

আরও পড়ুনঃ “যাঁরা বেসুরো তাঁরা বেসুরো হবেন, দেরি না করে তাড়াতাড়ি বিদায় নিন” – লকেট চট্টোপাধ্যায়

এছাড়াও জানিয়ে রাখি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তথাগত বাবু। তবে দল তাকে প্রার্থী করেনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তার সিংহভাগই প্রায় প্রার্থী হয়েছিলেন বিধানসভা নির্বাচনে। এই নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। এছাড়াও তাকে বিধানসভা নির্বাচনের কোন দায়িত্বেও দেওয়া হয়নি।

অবশেষে নির্বাচনের ফল প্রকাশ আসতেই দেখা যায়। বিজেপিতে যোগদান করা নতুন প্রার্থীরা বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হার মেনেছে। যার কারনে নির্বাচনের ফল প্রকাশে আসতেই দলের একাধিক নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তথাগত রায়। এমনকি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও দুষেছিলেন তিনি।