পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- করোনার প্রকোপকে বাগে আনতে কেন্দ্র সরকার অনেকদিন আগে থেকেই ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া চালু করে দিয়েছে। ভারতবর্ষের জনসংখ্যা অত্যাধিক হওয়ায় প্রতিটি রাজ্যে পর্যাপ্ত করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছাচ্ছে না। কিন্তু অপরদিকে, উত্তরপ্রদেশে সবথেকে বেশি সংখ্যক করোনা টিকা পড়ে রয়েছে। যোগীর রাজ্যের জনগণ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দেখলেই টিকাকরণ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছে।
গত ২৪ ঘন্টায় ভারতবর্ষে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২ লক্ষ ২২ হাজার ৩১৫ জন মানুষ, একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৪,৪৫৪ জন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ টিকাকরণের এই অবাক করা বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। তার মতে, আগামী মাস থেকেই রাজ্যে অধিক থেকে অধিকতর ব্যক্তিদের উপর টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালু করা হবে। উত্তরপ্রদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪,৭১৫ জনের এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩১ জনের।
টিকাকরণ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের রামনগর তহশিলের সাব-ডিভিশানাল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার শুক্লার বক্তব্য, গত শনিবার নাগাদ ঘটনাটি ঘটে । মানব শরীরে করোনার প্রভাব সম্পর্কে সমস্ত তথ্য গ্রামবাসীদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। করোনা টিকার গুরুত্ব এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে তার প্রয়োজনীয়তা ঠিক কতটা সেই সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে তাদের অবগত করা হয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত প্রয়াসের পরও টিকাকরণ কেন্দ্রে মাত্র ১৪ জনকে দেখতে পাওয়া যায়।
ভারতের অন্য রাজ্যগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন পৌঁছাচ্ছে না বলে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীরা এখনো ভ্যাকসিন নিতে অক্ষম। সেখানে উত্তরপ্রদেশের গ্রামবাসীদের মধ্যে এই ধরনের অসচেতনতামূলক আচরণ সেখানকার সরকারকে যথেষ্ট বিভ্রান্তির মুখে ফেলে দিচ্ছে।
গ্রামবাসীরা ভ্যাকসিন নিতে না আসায় স্বাস্থ্য আধিকারিকরা তাদের ডাকতে যায়। কিন্তু তারা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পা রাখতে অস্বীকার করে। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর অবস্থায় স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকাকরন প্রক্রিয়া চালু রাখার জন্য গ্রামের ভেতর প্রবেশ করে। গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করে এই টিকা তাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গ্রামবাসীরা পালানোর জন্য পাশের সরায়ু নদীতে ঝাঁপ দেয়।
কয়েকজন ব্যক্তি জানান, গ্রামের একজন বাসিন্দা তাদের মধ্যে কিছু ভুল তথ্য ছড়িয়েছিল। বলা হয়েছিল, করোনা টিকার মধ্যে বিষ মিশিয়ে ইঞ্জেকশন আকারে প্রয়োগ করা হবে তাদের শরীরে। আর এই ভুল তথ্যে বিশ্বাস করে গ্রামবাসীরা করোনা টিকা না নেওয়ার জন্য নদীতে ঝাঁপ দেয়।