পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ করোনা মুক্ত হওয়ার পর প্রয়াত হলেন অরিজিত সিং এর মা অদিতি সিং। বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রখ্যাত গায়ক অরিজিত সিংয়ের মা অদিতি সিং। অসুস্থতার কারণে তার করোনা টেস্ট করানো হয়। রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। সে সময় তিনি জিয়াগঞ্জের বাড়িতেই ছিলেন। তবে কোভিড পজেটিভ হওয়ায় তাকে বহরমপুর মাতৃসদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় সেখান থেকে হস্তান্তর করা হয় কলকাতায়।
এরপর ভর্তি করানো হয় কলকাতার ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল তার, সেই কারণে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি একমো সাপোর্টে চলে যান। একের পর এক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল অদিতি দেবীর। করোনা আক্রান্ত হওয়ার ফলে অদিতি দেবীর শরীরে প্লেটলেট এর সংখ্যা একেবারেই কমে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা অরিজিত সিং কে জানায় মাকে দ্রুত রক্তের প্রয়োজন। কিন্তু তার রক্তের গ্রুপ এ নেগেটিভ (A-) হওয়ায় সহজেই রক্ত পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।
শেষমেষ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় রক্তের জন্য আবেদন জানান এবং জানিয়েছিলেন পুরুষ রক্তদাতার প্রয়োজন। তবে তার এই পোস্টকে ঘিরে অনেকেই রক্ত দিতে আগ্রহী হয়েছিলেন। এরপর প্রতীক নামের এক তরুণ যুবক হাসপাতালে গিয়ে রক্ত দেন। গায়ক অরিজিত সিং তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছিলেন।
অদিতি দেবীকে রক্ত দেওয়ার কিছুক্ষণ পর তার শারীরিক উন্নতি হতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ফের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে শুরু করে। অদিতি দেবীর ব্রেন স্ট্রোক হয়। শারীরিক অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি ঘটে। তবে চিকিৎসার কোনো কোনরকম ঘাটতি রাখেননি চিকিৎসকরা। প্রাণ ফিরিয়ে আনতে যা কিছু করণীয় সমস্ত কিছুই করেছেন চিকিৎসকরা। তবে শেষমেশ অদিতি দেবী আর এই যন্ত্রনা আর্তনাদ সহ্য করতে পারেননি। গতকাল বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শত চেষ্টা করার পরেও মা-কে ফিরিয়ে আনতে পারলেন না জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং। বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ মাকে হারালেন অরিজিৎ সিং। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে শোকাহত অবস্থায় তার অনুগামীরা। তবে জানিয়ে রাখি, গত ১৭ মে অদিতি দেবীর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপরও তিনি জীবনের সঙ্গে শেষ লড়াইটা করতে গিয়ে হেরে গেলেন। মৃত্যুর কাছে হেরে গেলন অদিতি দেবী। আজ ভোঁর ৫ টা নাগাদ অদিতি দেবীর মৃত দেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় শেষ কার্য সম্পন্ন করার জন্য।